Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পোড়া দেশ, খোঁড়া রাজনীতি 
মোশারফ হোসেন

বছর কুড়ি আগের ঘটনা। বিহারের হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জমজমাট এলাকায় দুই বঙ্গসন্তান সাংবাদিককে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় বাসিন্দা। বেশিরভাগই মধ্যবয়সি বা তার চেয়ে প্রবীণ। ‘কলকাত্তা সে দো পত্রকার আয়া’—ভিড়টা এজন্যই। বিহারের মানুষের কাছে কলকাতার গুরুত্ব চিরকালই একটু অন্যরকম। সেসময় ভোটের দামামা বেজে উঠলে বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে দিনকতকের জন্য পাড়ি জমানো আমার এক ধরনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। উদ্দেশ্য, আমাদের বর্তমান পত্রিকার জন্য ভোট সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ। সেদিন পাটনা থেকে হাজিপুর রওনা দেওয়ার সময় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলাম কলকাতার আর একটি সংবাদপত্রের বিহারের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংবাদদাতা অঞ্জনকে।
সেবার লোকসভা ভোটে আর মাত্র সপ্তাখানেক বাকি। গোটা দেশের সঙ্গে বিহারেও রাজনীতির ময়দান সরগরম। হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম রামবিলাস পাসোয়ান। ততদিনে বেশ কয়েকটি ভোটেই হাজিপুর রামবিলাসের গড় বলে পরিচিতি পেয়েছে। উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ভোট নিয়েই। একসময় রামবিলাসের কথা তুললাম। নামটা শুনেই ফোঁস করে উঠলেন এক প্রবীণ। মাথা নেড়ে বললেন, ‘ওর কথা আর বলবেন না। মানুষ ক্ষমতা পেয়ে যে এত বদলে যেতে পারে রামবিলাসকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।’ আশপাশের অনেককেই মাথা নেড়ে সায় দিতে দেখলাম। উনি ঠিকই বলেছেন। ও ভীষণ বদলে গেছে। এমনসব কাণ্ড করেছে যা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। উও আভি রামবিলাস নেহি হ্যায়। উও বন গয়া ভোগবিলাস।
কী রকম?
আমার প্রশ্নে জবাব এল, দেশে এমন সতী সাধ্বী স্ত্রী থাকতে দিল্লিতে গিয়ে পাঞ্জাবি না কোন জাতের এক মহিলাকে বিয়ে করেছে শুনেছি। এরকম কেউ করে! দেখলাম, আশপাশে ভিড় বাড়ছে। রামবিলাসের বিরুদ্ধে হরেকরকম আলগা মন্তব্যও ভেসে আসছে। আমার দিকে ফিরে অঞ্জন বাংলায় বলল, এখানকার মানুষের মুড দেখলে তো! বেচারা রামবিলাসের কপালে এবার দুঃখ আছে। চলো আর দু’একটা এলাকায় যাই।
সেই মুহূর্তে আমিও ওর সঙ্গে প্রায় একমতই। মনে হল, আরও কয়েকটি এলাকায় সম্ভবত একইরকম নমুনা দেখব। একই মুড মিলবে সাধারণ মানুষের। আসন্ন ভোটে নিজের গড়ে রামবিলাস সম্ভবত ঠোক্করই খেতে চলেছেন।
তবু হঠাৎ কী মনে হল, প্রশ্নটা সোজাসুজি করেই ফেললাম। বললাম, তাহলে এবার রামবিলাসজি তো গোহারা হারবেন?
কিঁউ?
মুহূর্তে ফুঁসে উঠলেন সেই বয়স্ক মানুষটি, যিনি এতক্ষণ রামবিলাসের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছিলেন। হারেগা কিঁউ? আমার অবাক চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন—না, না। ও কখনও হারবে না। আমরা ওকে হারতে দেব না।
তাহলে যে এতক্ষণ এত কথা বললেন!
বলেছি, ঠিকই তো বলেছি। তবে মনে রাখবেন ঘরের ছেলে অন্যায় করলে, খারাপ কিছু করলে তাকে বকবো, দরকার হলে মারধর করবো। কিন্তু ঘর থেকে বের করে দেবো কি? আমরা সেরকম মানুষ নই। রামবিলাস আমাদের জাতের ছেলে। আমাদের গর্ব। ওর কোনও ক্ষতি হতে দেবো না। জনতার গুঞ্জন কানে এল, চাচাজি সঠিক কথাই বলেছেন।
ব্যাপারটা ভিন রাজ্যের দুই সাংবাদিকের কাছে যারপরনাই অপ্রত্যাশিত। ফলে পরস্পরের মুখ চাওয়াচায়ি করছি। সেই প্রবীণ বললেন, আপলোগ লিখ লিজিয়ে—ইয়ে হাজিপুরসে রামবিলাস পাসোয়ান নে ফির জরুর জিতেগা।
মনে পড়ছে, একবার বিহারের এক প্রবীণ সিপিআই নেতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাটনা লাগোয়া একটি এলাকায়। ভদ্রলোক বললেন, সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় কী জানেন, আমরা গত পঞ্চাশ ষাট বছর ধরে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই চালিয়েও এখনও প্রতিবার ভোটে রাজ্য বিধানসভায় সদস্যসংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছতে হিমশিম খাই। আর, দেখুন না লালু যাদব কেমন মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে দিব্যি ক’বছরেই রাজ্যটা দখল করে নিল! প্রসঙ্গত সেই সময় লালুপ্রসাদ যাদবের প্রধান স্লোগান ছিল—ভূরাবাল সাফ করো। ‘ভূরাবাল’ শব্দের আপাত অর্থ পাকাচুল হলেও রাজনীতির ময়দানে তার অন্তর্নিহিত বক্তব্য ছিল বিহারের দাপুটে চার উচ্চবর্ণ অর্থাৎ ভূমিহার, রাজপুত, ব্রাক্ষ্মণ ও লালা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অঘোষিত লড়াই। চার উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে অন্যদের একজোট করে লালুপ্রসাদ বিহারের রাজনীতিতে বাজিমাত করেছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন মুসলিমদের। নানা ইস্যুতে বার বার ঘটানো সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার শিকার হওয়া মুসলিমরাও লালুপ্রসাদকেই তাঁদের মসিহা তথা রক্ষাকর্তা মেনে নেওয়ায় এম-ওয়াই ফ্যাক্টর অর্থাৎ মুসলিম-যাদব যৌথ অভিযান ওইসময় বিহার রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে নীতীশকুমার কুর্মি ও কৈরি সম্প্রদায়কে লালুপ্রসাদের মুঠো থেকে বের করে এনে তাঁর প্রায় দেড় দশকের মৌরসিপাট্টা অনেকটাই খর্ব করে দেন। নীতীশের সাফল্যের পিছনেও সেই জাতপাতের রাজনীতিই প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।
একেবারে পাশের রাজ্য বলে বিহারের প্রত্যক্ষ উদাহরণগুলি তুলে ধরলাম। কিন্তু বাস্তবে প্রায় গোটা দেশটাই জাতপাতের রাজনীতির বিচারে বিহারের বৃহত্তর সংস্করণ বললে খুব ভুল বলা হবে না। হিন্দি তথা গো বলয়ে বিষয়টি যত নগ্নভাবে চোখে পড়ে, দেশের অন্যান্য অধিকাংশ এলাকায় ততটা না দেখা গেলেও প্রকৃত পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের নেই। রাজনীতির বাবুরা মুখে যতই উদারতা, মহানুভবতার বড়াই করুন না কেন দিনের শেষের মতো ভোটের বেলায় এসে প্রায়ই সবাই একই নিক্তিতে নিজেদের পাওনাগণ্ডা বুঝে নেওয়ার হিসেব কষেন। ভোটারের সংখ্যার বিচারে প্রার্থী বাছাই হয়। জাঠ অধ্যুষিত এলাকায় সব দলেরই প্রথম পছন্দ জাঠ সম্প্রদায়ের কোনও প্রার্থী। একইভাবে কোথাও গুর্জর, কোথাও প্যাটেল, কোথাও লিঙ্গায়েত, কোথাও হরিজন, কোথাও যাদব এরকম হরেকরকম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের ভোটে নামিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করতে তৎপর হয় রাজনৈতিক দলগুলি। এই পথেই ক্ষমতায় এসেছেন চরণ সিং, দেবীলাল থেকে শুরু করে মূলায়ম সিং যাদব, কুমারী মায়াবতীর মতো নেতানেত্রীরা। মণ্ডল কমিশনের নামে জাতপাতের রাজনীতিই বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংয়ের সাফল্যের সপ্তডিঙার পালে হাওয়া লাগিয়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল।
এমনকী বামপন্থীরাও পুরোপুরি এই ভাবনার বাইরে নন। তাঁরাও বেশিরভাগ সময়ই এলাকার জনবিন্যাসের চরিত্র বিচার করে প্রার্থী বাছাই করেন। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় কোনও মুসলিমকে প্রার্থী মনোনয়নের আগে চল্লিশবার ভাবেন। শুধু ভোটের প্রার্থীইবা কেন, সংগঠনের নেতা তৈরির ক্ষেত্রেও তাঁদের নীতি একইরকম। অন্তত বাস্তবচিত্রটা সেরকমই বলে। দেশে বাম রাজনীতির জ্যাঠামশাই সিপিএমের পলিটব্যুরো থেকে শুরু করে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আতসকাচ ফেললে এই দৃশ্যই ধরা পড়বে।
তবে, একটা ব্যাপারে বিজেপি ব্যতিক্রম। অন্তত উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে তারা করে দেখিয়েছে। বিভাজনের রাজনীতির ভিত্তিকে আরও সংহত করতে ওই রাজ্যে গত বিধানসভা ভোটে প্রার্থীতালিকায় মুসলিম নামের কোনও গন্ধ রাখেনি। কারণ, ওই দলটির আসল চালকদের মাথায় ভারত নামের দেশটির অর্থ কয়েক হাজার বছরের লালিত ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভারত’ নয়। তা হল হিন্দু ভারত। এবং খুব সম্ভবত তথাকথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুদের স্বার্থপূরণে সদা তৎপর থাকা একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ। বহু আলোচিত বৈদিক সমাজব্যবস্থার ভারত।
আর, একারণেই ভোটের মুখে শিক্ষা ও চাকরিতে উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণের নয়ানীতি প্রণয়ন। আশা, এর জেরে অন্তত গো-বলয়ের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা একজোট হয়ে পদ্মপতাকার তলায় এসে সমবেত হবেন। এবারও উচ্চবর্ণের ভোটের একমাত্র দাবিদার হয়ে উঠতে পারবে গেরুয়াশিবির।
আবার, ঠিক এই জায়গাটিতেই আঘাত হানতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। একসময় উচ্চবর্ণের হিন্দু জনগোষ্ঠী কংগ্রেসের অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক ছিল। পরে নানা কারণে তার অনেকটাই গেরুয়াশিবিরের দিকে সরে যায়। সেই সরে যাওয়া ভোটব্যাঙ্ককে ফিরিয়ে আনতে কংগ্রেস এবার লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশকেই প্রধান পরীক্ষাগার করতে চাইছে। সম্ভবত সেকারণেই হিসেব কষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরাসরি রাজনীতিতে নামানো হচ্ছে। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের প্রায় অর্ধেক এলাকার।
আদর্শ নয়। জাতপাত, ধর্ম-বর্ণ-সাম্প্রদায়িক তাসই দেশের রাজনীতির প্রধান ধারক। স্বাধীনতার বাহাত্তর বছর বাদেও রাজনীতি দাঁড়াতে পারল না রাজনৈতিক আদর্শ ও সততার পায়ে। তার প্রধান ভরসা এখনও সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাত থেকে শুরু করে বিদ্বেষমূলক প্ররোচনা, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রভৃতি নানা নামের ক্র্যাচ। জনতার দরবারে প্রত্যাখ্যান এড়াতে শঠতার তরবারিতে শান দেয় বহু রাজনৈতিক দল। এ আমাদের দুর্ভাগ্য। পোড়া দেশ এই খোঁড়া রাজনীতিকে আরও কতকাল কাঁধে করে বইতে বাধ্য হবে কে জানে! 
29th  January, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

30th  January, 2019
পুরাতনের বিদায়, নূতনের অভ্যর্থনা 

পি চিদম্বরম: তামিলনাড়ুতে উৎসবকে ‘ভোগী’ বলা হয়। ভারতের অন্যান্য অংশে বলা হয় ‘লোহড়ী’। ফসল কাটার সময় আসন্ন। এটাই হল ষাঁড়, গাভী, লাঙল প্রভৃতিকে মর্যাদা দানের এবং কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে উদযাপনের সময়। নতুন প্রভাতকে অভ্যর্থনা করার আগে আমরা পুরনোকে নিশ্চয় ছুড়ে ফেলে দেব—পুরনো বস্ত্র, ভাঙা কৃষি সরঞ্জাম এবং অকেজো টুকিটাকি জিনিসপত্র যা সব আমরা জড়ো করেছিলাম পুরনো বছরে।  বিশদ

28th  January, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, গাজোল: পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুরের স্টাইলিস ক্লাবের সরস্বতীপুজো বরাবরই নজর কাড়ে। হিন্দু ও মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষই এই পুজোর আয়োজন করে। ...

 হায়দরাবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): চূড়ান্ত অবহেলার নজির। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর পেটের ভিতরই একজোড়া কাঁচি রেখে পেট সেলাই করে দিলেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের একটি সরকারি ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাপ্য আদায়ের জন্য রাজনৈতিক লড়াইকে এবার চ্যালেঞ্জের জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে সিপিএম। সেই কারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে প্রস্তাবিত ধর্না কর্মসূচি নিয়ে এসপার-ওসপার মনোভাব নিতে চায় তারা। ...

 ইসলামাবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তাঁর কন্যা মারিয়ম এবং তাঁর জামাই মহম্মদ সফদরের নাম এক্সিট কণ্ট্রোল তালিকা (ইসিএল) থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন শনিবার বাতিল করে দিল পাক সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর রেঙ্গুনে নির্বাসিত
১৮৯৫ - উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন।
১৯০০ - ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯০২ – মণীশ ঘটক, বাঙালি গল্পকার, কবি এবং ঔপন্যাসিকের জন্ম
১৯৪৩: মার্কিন দাবাড়ু ববি ফিশারের জন্ম
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯ - বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: ভরতনাট্যম শিল্পী বালা সরস্বতীর মৃত্যু

09th  February, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১৯/৪৪ দিবা ২/৯। রেবতী ২২/২৩ রাত্রি ৭/৩৭। সূ উ ৬/১৫/৪৭, অ ৫/২৬/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৬ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১০/২৫/৩। রেবতীনক্ষত্র অপঃ ৪/২৩/৩০, সূ উ ৬/১৭/৮, অ ৫/২৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/১/৩৭ থেকে ৯/৫৯/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৭/২৬ থেকে ৮/৫০/১৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৭/২২ থেকে ১১/৫০/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৪৬ থেকে ১/১৪/১১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২২ থেকে ৩/৩/৫৭ মধ্যে।
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে পারেন। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: স্বামী-স্ত্রীর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী ...বিশদ

07:03:20 PM

বেলেঘাটার একটি আবাসনে ২ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিস 

06:07:00 PM

মেদিনীপুর শহরে চলল গুলি, তদন্তে পুলিস 

06:03:00 PM

মুম্বইতে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার কোকেন সহ গ্রেপ্তার ৪ বিদেশি নাগরিক 

05:40:00 PM

মুম্বইয়ের নেহেরু নগরে ২টি বাসে আচমকা আগুন

04:54:00 PM