Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো  মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। সেটা জেনেই আগামী ভোটের দিকে তাকিয়ে আম জনতাকে খুশি করতে এবং  একই সঙ্গে মধবিত্ত ও  শিল্প মহলকে খুশি করতে এমন কিছু প্রস্তাব এই ধরনের অন্তর্বর্তী বাজেট রাখা হয় যেগুলি আদতে কার্যকর করা সম্ভব নয়, কিন্তু ভোটে বৈতরণী পার হতে নির্বাচনী ইস্তাহারের মতো কাজে লাগানোর লক্ষ্যে জনদরদি কিছু ঘোষণা রাখা  হয়। দলের পক্ষে ভোটের প্রচারে বলা যাবে, যে ক্ষমতায় ফিরলে তারা এগুলিই করতে চায়। তাই এই বাজেট বা ভোট অন অ্যাকাউন্ট কার্যত একটা ভোটমুখী রাজনৈতিক ইস্তেহার।  এছাড়া  একে অন্য ভাবে ভাববার কারণ নেই। এত কিছু সত্ত্বেও  বর্তমান পরিস্থিতিতে এবারে বাজেট বেশ কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কেন, সেটিই প্রথম আলোচ্য।
প্রথমত, এই ভোট অন অ্যাকাউন্ট থেকেই মোদিকে বোঝাতে হবে যে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো আর অর্থনীতি চালাতে চান না, তাঁকে যাঁরা ক্ষমতায় আনছেন শুধু তাঁদের প্রতি তিনি দায়বদ্ধ নন। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে ভুলে যাবেন না তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে অর্থমন্ত্রী জেটলির সিদ্ধান্তও অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্ট বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে দেশের অর্থনীতিকে ত্রিমুখী ভাবনায় পরিচালিত করেছেন। এক, নোট বাতিলের মত হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় জিএসটি চালু করে রাতারাতি অর্থনীতির খোল নলচে বদলের চেষ্টা করেছেন, যা সর্বস্তরে একটি জোর ধাক্কা দিয়ে অর্থনীতির বৃদ্ধি কমিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি, এমনকী বৃহৎশিল্প চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়ে কেবলমাত্র আম্বানি-আদনি-পেটিএম-এর মতো কিছু নির্দিষ্ট দেশি-বিদেশি পুঁজিনির্ভর লগ্নির নামে দেশের অর্থে পছন্দের শিল্পপতির বিকাশ ঘটিয়েছেন,তার জন্য ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে তাদের রিজার্ভ অর্থে দেউলিয়া পুঁজির ক্ষত মেরামত করার চেষ্টা করছেন। তাতে যে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা আরও দুর্বল হবে, বিপন্ন হবে আম জনতা, সেটা জেনেও তিনি তা-ই করতে চেয়েছেন। ক্ষমতায় মোদি সরকার ফিরলে যে দেশের আপামর জনতা শুধু এই কারণেই চোখে সর্ষে ফুল দেখবে, নির্বাচনের ময়দানেও সেটা মোদিজির পক্ষে অশনিসংকেত হিসেবেই স্পষ্ট। তৃতীয়ত, দেশের স্বয়ম্ভর খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার বদলে কৃষি অর্থনীতিকে পশ্চিমি বাজারমুখী উন্নয়নের ভাবনায় ঢেলে সাজাতে চাইছেন। তাতে ক্ষুদ্র চাষিদের লাঙ্গল ছেড়ে মাল্টি ন্যাশনাল ফুড কর্পোরেটদের কাছে নিজের জমি লিজ দিয়ে সেই জমিতেই চাষ করতে হবে। দেশের কৃষি সমস্যা না মিটিয়ে বাজেটে কৃষি বরাদ্দ বাড়িয়ে বৃহৎ পুঁজির এগ্রি-কর্পোরেট ভেঞ্চারগুলির স্বার্থে বরাদ্দ হচ্ছে কৃষি ও গ্রামীণ বিকাশের নামে। সেটি বুঝে গিয়েছে দেশের কৃষক শ্রেণী। এমনকী, বিজেপি অনুমোদিত কৃষক সংগঠনগুলিও তাই গত দু’বছর মোদি সরকার বিরোধী আন্দোলনে। বস্তুত, কৃষি ও সাধারণ কৃষকের কল্যাণে মোদি সরকারের বাজেটে বিশেষ কিছু থাকে না, যা কিছু থাকে তা কৃষি পণ্যের বিপণন, কৃষি বাণিজ্যকরণ, কৃষিক্ষেত্রের ভর্তুকি ও সুযোগ-সুবিধা যার সিংহভাগ পায় বৃহৎ চাষিদের একাংশ। কৃষি মন্ত্রকের সরকারি তথ্য বলছে, মোদির চার বছরে কৃষিঋণের বেশিরভাগ অর্থ জমা হয়েছে মাত্র ৬৭০টি অ্যাকাউন্টে। ভাবুন, এই হল বাজেটের বাস্তব-দর্শন! স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ছোট কৃষকরা চাষের খরচ তুলতে না-পারলে ফসল ফলায় যেসব কোম্পানি তাদের কাছে জমি দিয়ে দিক, তাদের কাছে কাজ করুক! এই প্রধানমন্ত্রীর শেষ বাজেটে কৃষকের আয় দ্বিগুণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যদি লক্ষ কোটি টাকাও ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য বরাদ্দ হয়, তাকে নির্বাচনী চমক ছাড়া আর কীই-বা ভাবা যেতে পারে? সারা ভারতকে আধপেটা খাইয়ে শুধু ৪০কোটি উচ্চ আয়ের বাজার ধরার বাজেট না-করে যদি প্রকৃত একটি জনস্বার্থের বাজেট হয়, তাতে সব পক্ষেরই মঙ্গল।
ঘটনা যা-ই হোক, মোদিকে ক্ষমতায় ফেরার জন্য একটা স্থায়ী ও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কোনও দেশ, অর্থনীতি বা দেশের মানুষের কল্যাণ কোনওদিন দুমদাম সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিনা প্রস্তুতিতে তা কার্যকর করার জন্য ঘোষণার মধ্যে দিয়ে হতে পারে না। এবারে ভোট অন অ্যাকাউন্টে মোদিকে বোঝাতে হবে যে তিনি  রাজনৈতিক প্রয়োজনে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না, অর্থনীতির প্রয়োজন বুঝলেই বরং তো সকলের পক্ষে মঙ্গল, নইলে  বাজেটে ঘোষিত হলেই যে কার্যকর হয় না তার দৃষ্টান্ত অজস্র। নির্বাচনের বছরে বাজেট পেশ করতে গিয়ে মোদিজি যেন গতবারের  মতো বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি না দেন, তাতে মোদিজির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
এবারের বাজেটে মোদিজি মানুষের জন্য অনেক জনহিতকর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মতো অনুকূল অবস্থায় আছেন। গত চারবছরে মোদি জমানার সব চাইতে বিতর্কিত যে নোট বাতিল কাণ্ড, তা পরোক্ষে রাজকোষের অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছে। গত চারবছরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আয়কর সংগ্রহ বেড়েছে ৪০ শতাংশ, এবং এর ফলে রাজকোষ ঘাটতি কমানোয় দারুণভাবে সাফল্য এসেছে। এই বিষয়টিকে যে ‘ট্যাক্স টু জিডিপি’ অনুপাতের হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাতে ৫৬% উন্নতি হয়েছে। এর ফলে বাজেট ঘাটতি রয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপি সাড়ে তিন শতাংশের মধ্যেই। ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। এতে লগ্নির পরিবেশ অনুকূল, তার উপর আশানুরূপ বিদেশি লগ্নি আসছে,  বিদেশে তেলের দাম বা টাকার দামে ক্ষেত্রে চাপ থাকলেও চলতি খাতের ভারসাম্য লগ্নি ও বিদেশি মুদ্রা আগমনের নিরিখে সন্তোষজনক। সব মিলিয়ে এখন কোষাগারীয় পরিস্থিতি অনুকূলে। এই অবস্থায়  তাই যে-কোনও সরকার চাইলে আম জনতার জন্য কিছু ভালো প্রস্তাব রাখতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। অরুণ জেটলির অসুস্থতায় এখন বাজেট পেশ করতে এসে সকল মহলের জন্য কতখানি দায় ও ঝুঁকি নিতে পারেন পীযূষ গোয়েল, সেটাই দেখার।
অন্তর্বর্তী হলেও এই বাজেটেই সত্যিই কিছু করতে হবে মোদি সরকারকে, এমন বিষয়টা রাজনৈতিক নয় শুধু, অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। দেশের বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের উপরে হলেও ‘জব লেস গ্রোথ’। কর্মসংস্থান বাড়ছে না আশানুরূপ হারে, এটাই মোদির সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের রায়ে ক্ষমতায় যেই আসুক, আগে দেশ ও জনতার স্বার্থে কর্মসংস্থান সমস্যার গুরুত্ব অগ্রাধিকার দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। এই বাজেটে তাই পরিকাঠামো, হাউজিং, রিয়াল এস্টেটে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে ‘স্টার্ট আপ বিজনেসে’ কর ছাড় দিতে হবে, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বাজার ফিরিয়ে দিতে হবে চীনাপণ্যের সঙ্গে লড়াইয়ে, তার জন্য মাশুল সংস্কার করতে হবে, জিএসটি কমানো খুব জরুরি, নইলে দেশের বাজার আরো নিয়ে নেবে চীনারা। দেশ কখনও বিদেশি লগ্নির উপর চলতে পারে না, দেশীয় পুঁজিকে শক্তিশালী করে দেশের বাজার তাদের হাতে রাখাটা খুব জরুরি। ব্যাঙ্কিং ও কর সংস্কারের লক্ষ্য হওয়া উচিত সেটাই। কিন্তু হচ্ছে উল্টো। ফলে সীমিত ও নির্দিষ্ট কিছু কর্পোরেটের বাইরে দেশীয় শিল্পের বিকাশ শ্লথ।
এই বাজেটে সাধারণ আম জনতার জন্য আশা করা যায় করমুক্ত আয়ের ঊর্ধ্বসীমা আরও বাড়িয়ে তিন লাখ করা হবে। তাতে অর্থনীতির লাভ, কিছুটা হলেও চাহিদা বাড়িয়ে বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত হবে।  বৃদ্ধির হার আরও ২ শতাংশ বাড়াতে গেলে অবিলম্বে চাই একটি গ্রামীণ বিকাশভিত্তিক সত্যিকারের গণমুখী বাজেট, যাতে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে, কৃষকের আয় বাড়ে,  ক্ষুদ্র ও মাঝরি শিল্পের বাজার বাড়ে, চাকরির পাশাপাশি লগ্নির পরিবেশ চাঙ্গা হয়। এইসব একটি অন্তর্বর্তী বাজেটের কাজ নয়, কিন্তু এই লক্ষ্যেই আগামী দিনের পদক্ষেপের জন্য এবারের অন্তর্বর্তী বাজেট সাজাতে হবে, সেটাই চ্যালেঞ্জ। নইলে জবাবদিহির দায় এড়ানো কঠিন হবে ভোটের বছরেই।
30th  January, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
পোড়া দেশ, খোঁড়া রাজনীতি 
মোশারফ হোসেন

বছর কুড়ি আগের ঘটনা। বিহারের হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জমজমাট এলাকায় দুই বঙ্গসন্তান সাংবাদিককে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় বাসিন্দা। বেশিরভাগই মধ্যবয়সি বা তার চেয়ে প্রবীণ। ‘কলকাত্তা সে দো পত্রকার আয়া’—ভিড়টা এজন্যই। বিহারের মানুষের কাছে কলকাতার গুরুত্ব চিরকালই একটু অন্যরকম।  
বিশদ

29th  January, 2019
পুরাতনের বিদায়, নূতনের অভ্যর্থনা 

পি চিদম্বরম: তামিলনাড়ুতে উৎসবকে ‘ভোগী’ বলা হয়। ভারতের অন্যান্য অংশে বলা হয় ‘লোহড়ী’। ফসল কাটার সময় আসন্ন। এটাই হল ষাঁড়, গাভী, লাঙল প্রভৃতিকে মর্যাদা দানের এবং কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে উদযাপনের সময়। নতুন প্রভাতকে অভ্যর্থনা করার আগে আমরা পুরনোকে নিশ্চয় ছুড়ে ফেলে দেব—পুরনো বস্ত্র, ভাঙা কৃষি সরঞ্জাম এবং অকেজো টুকিটাকি জিনিসপত্র যা সব আমরা জড়ো করেছিলাম পুরনো বছরে।  বিশদ

28th  January, 2019
একনজরে
 ইসলামাবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তাঁর কন্যা মারিয়ম এবং তাঁর জামাই মহম্মদ সফদরের নাম এক্সিট কণ্ট্রোল তালিকা (ইসিএল) থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন শনিবার বাতিল করে দিল পাক সরকার। ...

 হায়দরাবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): চূড়ান্ত অবহেলার নজির। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর পেটের ভিতরই একজোড়া কাঁচি রেখে পেট সেলাই করে দিলেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের একটি সরকারি ...

সংবাদদাতা, গাজোল: পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুরের স্টাইলিস ক্লাবের সরস্বতীপুজো বরাবরই নজর কাড়ে। হিন্দু ও মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষই এই পুজোর আয়োজন করে। ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: লোকসভা ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বীরভূমের গ্রামগুলিতে ‘সাবধান’ শিরোনামে লিফলেট ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এলাকায় লিফলেটগুলি ছড়িয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর রেঙ্গুনে নির্বাসিত
১৮৯৫ - উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন।
১৯০০ - ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯০২ – মণীশ ঘটক, বাঙালি গল্পকার, কবি এবং ঔপন্যাসিকের জন্ম
১৯৪৩: মার্কিন দাবাড়ু ববি ফিশারের জন্ম
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯ - বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: ভরতনাট্যম শিল্পী বালা সরস্বতীর মৃত্যু

09th  February, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১৯/৪৪ দিবা ২/৯। রেবতী ২২/২৩ রাত্রি ৭/৩৭। সূ উ ৬/১৫/৪৭, অ ৫/২৬/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
আজ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা
২৬ মাঘ ১৪২৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ১০/২৫/৩। রেবতীনক্ষত্র অপঃ ৪/২৩/৩০, সূ উ ৬/১৭/৮, অ ৫/২৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/১/৩৭ থেকে ৯/৫৯/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৭/২৬ থেকে ৮/৫০/১৮ মধ্যে, বারবেলা ১০/২৭/২২ থেকে ১১/৫০/৪৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৫০/৪৬ থেকে ১/১৪/১১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২২ থেকে ৩/৩/৫৭ মধ্যে।
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে পারেন। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: স্বামী-স্ত্রীর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৪৭: কবি নবীনচন্দ্র সেনের জন্ম১৯২৩: রঞ্জন রশ্মির আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী ...বিশদ

07:03:20 PM

বেলেঘাটার একটি আবাসনে ২ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিস 

06:07:00 PM

মেদিনীপুর শহরে চলল গুলি, তদন্তে পুলিস 

06:03:00 PM

মুম্বইতে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার কোকেন সহ গ্রেপ্তার ৪ বিদেশি নাগরিক 

05:40:00 PM

মুম্বইয়ের নেহেরু নগরে ২টি বাসে আচমকা আগুন

04:54:00 PM