কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সমস্ত ভয় দূর করে তিনি শাশ্বত আলো ও শান্তি দেন। তীব্র ধ্যানের সহায়ে যোগীরা তাঁকে উপলব্ধি করেন। তাঁর স্বরূপ উপলব্ধি করে তাঁরা সমস্ত দুঃখ, সমস্ত সীমাবদ্ধতার পারে যান এবং বিশুদ্ধ শান্তি ও সুখ লাভ করেন। আসুন, আমরা আমাদের শরীর-মনকে শিথিল করে, চিন্তাসমূহকে প্রত্যাহৃত করে হৃদয়ের মধ্যে দৈবী-সত্তার ধ্যান করি। সেই পরমাত্মাকে সমস্ত জীবনের, সমস্ত শক্তির, সমস্ত জ্ঞানের, সমস্ত প্রেমের, সমস্ত আনন্দের একমাত্র উৎসরূপে ভাবুন। তিনিই একমাত্র পূজার্হ। তাঁকে দূরে বলে মনে হয় বটে, কিন্তু তিনি কাছের থেকেও কাছে। প্রতিটি মানুষের তিনি অন্তরতম সত্তা। তিনি আমাদের প্রাণের প্রাণ। তাঁর কাছে পৌঁছানর জন্য আমাদের কোথাও যেতে হয় না। গভীর ধ্যানসহায়ে আমরা হৃদয়ের গভীরে তাঁকে দেখতে পারি।
আমাদের যতটুকু শক্তি আছে, যত আনন্দ আমরা উপভোগ করি, যত জ্ঞান আমাদের আছে—সবই তাঁর কাছ থেকে উৎসারিত। আপাতঃদৃষ্টিতে আমরা বিভিন্ন বস্তু থেকে আনন্দ পাই, বিভিন্ন উৎস থেকে শক্তি সংগ্রহ করি। কিন্তু তিনিই হলেন সমস্ত আনন্দ এবং শক্তির একমাত্র উৎস। আনন্দ ও শক্তির সমস্ত প্রকাশ তাঁর কাছ থেকেই ঘটে। আমরা উৎসের কথা ভাবি না। কলের মুখ থেকে যে জল আমরা পাই সে জলের উৎস অনেক দূরে—কলের মুখ নয়। অনুরূপে সমস্ত আনন্দের একটি উৎস, আর সেই উৎসটি হল পরমাত্মা।
এই পরমাত্মা সর্ববস্তুতে অনুস্যূত, সমস্ত বস্তুর অন্তরতম আসল সত্তা। তিনি সর্ববস্তুর অন্তর্নিহিত প্রকৃত সত্তা, যার জন্য সবকিছুকে সত্তাবান্ বলে মনে হয়। আমরা সমস্ত শক্তি, জ্ঞান, আনন্দের আকরের দিকে ফিরি না বলে আমাদের শক্তি, আনন্দ এবং জ্ঞান সীমিত হয়ে থাকে। আসুন, আমরা উৎসের দিকে ফিরি।
উৎসটি হল সমস্ত আত্মার আত্মা। আপনার সত্তার গভীরতম প্রদেশের দিকে চোখ ফেরান। সেখানে কী দেখেন? সেখানে সদা উজ্জ্বল চৈতন্যস্বরূপ বিদ্যমান। পরমাত্মাই সেই বিশুদ্ধ চৈতন্য আত্মজ্যোতি—যা থেকে সমস্ত কিছু প্রকাশিত হয়েছে। আত্মার আলোতে আলোকিত হয়ে চোখ দেখে, কান শোনে, মন ভাবে, জানে, অনুভব করে। প্রতিটি ব্যক্তির অন্তরস্থিত এই চৈতন্যসত্তা সমস্ত জ্ঞান, আনন্দ ও শক্তির আকর।