কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এদিন সকালে শান্তিপুর শহরের ডাকঘর মোড়, কলেজ মোড়, শ্যামবাজার, কাশ্যপপাড়া, স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, বাইগাছিপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত পরিদর্শনে নামেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। পরিদর্শনে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। বিনা লাইসেন্সে অস্থায়ীভাবে শহরের ফুটপাতগুলোতে পসরা সাজিয়ে বসা কয়েকশো ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয় এদিন। আগামী ১১ দিনের মধ্যে ফুটপাত ছেড়ে দিতে তাঁদের কাছে আবেদন জানানো হয়। শুধু লাইসেন্সবিহীন বিক্রেতাদেরই নয়, স্থায়ী দোকানের একাংশ, যারা ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে, তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে এদিন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে কতজন ব্যবসায়ী বৈধভাবে নিজেদের দোকান চালাচ্ছেন, সেই সংখ্যাটা বের করাই এখন মূল উদ্দেশ্য। ব্যবসার লাইসেন্স নিয়েও যে ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে দোকান চালাচ্ছেন, তাদের কীভাবে পুনর্বাসন দেওয়া যায়, তার জন্যেও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। তবে ফুটপাত দখল করে বসা অজস্র ফাস্টফুডের দোকানই পুরসভার মাথাব্যথার কারণ।
শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, আমরা ফুটপাত দখল করে রাখা ব্যবসায়ীদের আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছি। শহরের ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের যোগ্য না হলে এরপর ধারাবাহিক অভিযান চলবে। আইনত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। শহরের প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, শান্তিপুরে এখন ফুটপাত বলতে কিছুই নেই। বছরের পর বছর ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে খাবারের দোকান চালানো ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা অস্থায়ীভাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছি। এখন উঠে কোথায় যাব? ব্যবসা লাটে তুলে দিয়ে কীভাবে পরিবারের অন্ন সংস্থান করব জানি না।