কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এই জীবনদর্শন আশ্রয় করে ভারতবাসী তার চলার পথে দেখতে পেয়েছে তার জীবন-অভীপ্সার লক্ষ্য স্থির করে দেবার জন্য, শ্রীভগবান মানুষের সাজে কখন কখন তাদের মধ্যে উপস্থিত হন। শ্রীভগবানের এই অবতরণ ভারতবাসীর চিরপ্রিয়। কারণ ব্যাখ্যা করে স্বামী বিবেকানন্দ একটি ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমরা জানি... মহত্তর জীবন্ত ঈশ্বরসকল এই পৃথিবীতে সময়ে সময়ে আমাদের মধ্যেই আবির্ভূত হইয়া বাস করিয়া থাকেন।...ঈশ্বর সম্বন্ধে তুমি আমি যতটা ধারণা করিতে পারি, তাহা অপেক্ষা শ্রীকৃষ্ণ অনেক বড়। আমরা আমাদের মনে যতদূর উচ্চ আদর্শের চিন্তা করিতে পারি, বুদ্ধ তদপেক্ষা উচ্চতর আদর্শ—জীবন্ত আদর্শ। সেই জন্যই সর্বপ্রকার কাল্পনিক দেবতাকেও অতিক্রম করিয়া তাঁহারা চিরকাল মানবের পূজা পাইয়া আসিতেছেন।’
বিগত পাঁচশ বছরের মধ্যে তিনি দু-দুবার আবির্ভূত হয়েছেন—আবির্ভূত হয়েছেন শ্রীচৈতন্যবপুতে ও শ্রীরামকৃষ্ণবপুতে। ভগবান শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব ১৪৮৬ খ্রীষ্টাব্দে, ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের ১৮৩৬ খ্রীষ্টাব্দে। প্রথম জন মর্ত্যদেহে ছিলেন প্রায় আটচল্লিশ বছর, দ্বিতীয় জন প্রায় একান্ন বছর। প্রেমোন্মত্ত শ্রীচৈতন্য প্রেমযমুনার প্লাবনে সমাজের পূঞ্জীভূত গ্লানি ভাসিয়ে দিয়েছিলেন, দেশবাসীকে ভক্তিরসে সিক্ত করেছিলেন। আর সাড়ে তিনশ বছর পরে ভারতের যাবতীয় অধ্যাত্ম-সাধনা ঘনীভূত হয়ে শ্রীরামকৃষ্ণরূপ পরিগ্রহ করেছিল। শ্রীরামকৃষ্ণ নিজে জ্ঞানগঙ্গা ও প্রেমযমুনা বইয়ে দিয়েছিলেন এবং শিষ্য বিবেকানন্দকে আশ্রয় করে কর্মসরস্বতীকে এরসঙ্গে মিলিত করে দিয়েছিলেন। এই তিনধারার মিলনে ভারতবর্ষে নবজাগরণের উন্মেষ সম্ভবপর হয়েছিল।