পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই চমকসর্বস্ব। জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর উত্থান চমক দিয়ে এবং তাঁর ভারতশাসনের প্রথম দুই দফাও কেটে গিয়েছে চমকের পর চমক দিতে দিতে। তাঁর চমক মানেই কিছু প্রতিশ্রুতি। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে জানেন যে তা রক্ষা করতে হবে। কিন্তু ভারত রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হয়েও নরেন্দ্র মোদি ওই গোত্রে পড়েন না। তিনি প্রতিশ্রুতি বণ্টন করেন মওকা বুঝে। যখন কিছুই দেওয়ার থাকে না তাঁর, মোদি তখন হাজার হাতে প্রতিশ্রুতি বিতরণ করে চলেন। খালি হাতে উদার দাতা হয়ে ওঠার এই ম্যাজিক অভূতপূর্ব! হ্যাঁ, জাদু প্রদর্শনের এই খেলায় নরেন্দ্র মোদির তুলনা নরেন্দ্র মোদিই। প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যমে মানুষের উপকার করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়, তাঁর লক্ষ্য তাৎক্ষণিক হাততালি এবং অতঃপর কাঁড়ি কাঁড়ি ভোট কুড়নো, যাতে শুধুই তাঁর কুর্সিখানা অটল থাকে। কী ভোটের ময়দান, কী বাজেট অধিবেশন—কোনও ফারাক নেই! মোদির অম্লান হাসিমুখ মানেই ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি। গতবছর ভোটে জিতে এসেও এর অন্যথা হয়নি মোদি সরকারের। বাজেট ২০২৪-এ মোদির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দেশজুড়ে ২ কোটি ৯০ লক্ষ চাকরি হবে। চাকরির বাজার চাঙ্গা করার দাবিসহ তিনটি প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। তার মধ্যে দুটি ছিল পিএফ-ভিত্তিক। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, স্কিম তিনটি থেকে শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রেই এত চাকরি হওয়ার কথা।
আগামী শনিবার ‘বাজেট ২০২৫’ পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। এই প্রসঙ্গেই দেশবাসীর স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা একটাই—গতবছরের চাকরির প্রতিশ্রুতির কী হল? উত্তর—‘বিগ জিরো’! উল্লেখ্য, করোনাকালে ‘আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা’ চালু করেছিল কেন্দ্র। সেই প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দের অর্ধেকও খরচ হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ লক্ষ কর্মচারীকে দেওয়া হয়নি তাঁদের প্রাপ্য আর্থিক সুরাহাও। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, পিএফ-সংশ্লিষ্ট চাকরির তথ্যাদিও চেপে যাচ্ছে এই সরকার। এর সঙ্গে বছরে ২ কোটি চাকরি প্রদানের প্রতিশ্রুতির কথা তোলার আর কোনও মানে হয় না। ২০১৩-১৪ সালে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির দেওয়া ওই প্রতিশ্রুতি বহুদিন আগে থেকেই ‘জুমলা’ বলে নিন্দিত হচ্ছে। পাহাড়প্রমাণ বেকারত্বের বিপরীতে কর্মসংস্থান সম্পর্কে এমন অদ্ভুত দৃষ্টিভঙ্গি যে সরকারের, তাঁর আমলে যুব শ্রেণির ভবিষ্যৎ কোন অন্ধকারে তলিয়ে যেতে পারে, শিয়ালদহের ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে সেটাই।