অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
সামুদ্রিক মাছ রপ্তানিতে উৎসাহ দিতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করে আমেরিকার ন্যাশানাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেখানে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, সমুদ্র থেকে চিংড়ি তোলার সময় টার্টেল এক্সক্লুডার ডিভাইস নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে জালে। এতে মৎস্যজীবীর জালে শুধু চিংড়ি পড়বে, কচ্ছপ নয়। সেইমতো কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সেই তালিকায় ছিল ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গোয়া, কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত। কচ্ছপ সংরক্ষণের তাগিদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও।
তাহলে সমস্যা কোথায়? কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, আমেরিকা এখন জানতে চাইছে, যে ডিভাইসের কথা তারা বলেছিল, তা মৎস্যজীবীরা সত্যিই ব্যবহার করছেন কি না, তার প্রমাণ দিতে হবে। রাজ্য সরকার আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিল, সেই বিষয়ে অবগত করতে হবে আমেরিকাকে। তবেই তারা সমুদ্রের চিংড়ি কিনবে। আমেরিকার এই মনোভাব রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে। এখানকার মৎস্য দপ্তরেও সেই চিঠি এসে পৌঁছেছে। দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্যগুলি যদি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য কেন্দ্রের কাছে জমা করে, তাহলে খরা কাটবে। এদেশ থেকে যত চিংড়ি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়, তার ৮০ শতাংশই চাষের চিংড়ি। ২০ শতাংশ আসে সমুদ্র থেকে। সমুদ্রের মাছের ওপর নির্ভর করে যে সমস্ত মৎস্যজীবী জীবনযাপন করেন, তাঁদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ অন্যান্য দেশের মধ্যে আমেরিকাই চিংড়ির জন্য সবচেয়ে বেশি দাম দেয়। যেহেতু আমেরিকার বাজার সবচেয়ে বেশি লাভজনক, সেই কারণে এখানকার রপ্তানি মার খেলে মৎস্যজীবীদের ক্ষতি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারও বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে।