অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কয়েক বছর আগে জিআই তকমা পায় জয়নগরের মোয়া। কিন্তু বাজারে তার জোগান পর্যাপ্ত নয়। যাঁরা ভালো মোয়া খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা চাইলেই কাছাকাছি দোকান থেকে এই মিষ্টি কিনতে পারেন না। এর অন্যতম কারণ হল, জিআই তকমা দেওয়া মোয়া বিক্রির অধিকার সবার নেই। মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি ধীমান দাশ বলেন, ‘আমরা আমাদের সংগঠনের সদস্যদের এই মোয়া বিক্রির তালিকায় নথিভুক্ত করছি। জিআই লোগো যুক্ত জয়নগরের মোয়া তৈরি করতে নির্দিষ্ট রেসিপি দরকার। কনকচূড় ধানের খই, বিশেষ নলেন গুড়, ক্ষীরের মিশেলে তৈরি হয় এই মোয়া, যার স্বাদ অন্য কোনও মোয়ার সঙ্গে তুলনীয় নয়। যাঁরা জিআই তকমায় ওই মোয়া বিক্রি করবেন, তাঁদের ওই রেসিপি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা তৈরি করতে হবে। ডিসেম্বরের গোড়াতেই যাতে রাজ্যের সর্বত্র তার বিপণন করা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক অমিতাভ দে’র কথায়, ‘বাজারে জয়নগরের মোয়া বলে ভেজাল জিনিস বিক্রি করা হয়। তাতে আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন সবাই। আমরা আসল মোয়ার স্বাদ চেনাতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছি। ৫০ গ্রাম ওজনের ছ’টি মোয়া জিআই তকমাযুক্ত নির্দিষ্ট প্যাকেটে বিক্রি করা হবে।’
জয়নগরের মোয়ার আয়ু সাধারণত পাঁচ দিন হয়। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তিতে সেই মোয়া প্যাকেটজাত করলে তা ২৫ দিন পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এবার সেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের এমএসএমই বা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তর। জিআই তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছিল জয়নগর মোয়া নির্মাণকারী সোসাইটি। এখানকার সম্পাদক অশোককুমার কয়াল বলেন, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এমএসএমই দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ছিলেন, তখন তিনি এই উদ্যোগ নেন। ঠিক হয় জয়নগরের দু’নম্বর ব্লকে একটি মেশিন বসানো হবে, যার জন্য সরকার খরচ করবে ৭৫ লক্ষ টাকা। সেই কাজ এগোচ্ছে। নিমপীঠ আশ্রম এই মেশিন বসানোর জায়গা দিতে এগিয়ে এসেছে। প্রশাসনিক নিয়ম মিটিয়ে শীঘ্রই সেই মেশিন চালু হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অশোকবাবুরা। তাতে উপকৃত হবেন বহু মিষ্টান্ন বিক্রেতা। সরকার প্যাকেজিংয়ের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ায় সেই খরচ বহন করতে হবে না ব্যবসায়ীদের। মিষ্টির আয়ু বাড়লে রাজ্যের বাইরে জয়নগরের মোয়া পাঠানোও সহজ হবে। তেমনই আশায় আছেন ব্যবসায়ীরা। -নিজস্ব চিত্র