কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
বংশ পরম্পরায় শোলাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ শিল্পী শম্ভুনাথ মালাকার। ঘিঞ্জি কুমোরটুলির ছোট্ট একফালি ঘরে শোলা কেটে তৈরি করে থাকেন প্রতিমার অলঙ্কার থেকে শুরু করে নানান জিনিসপত্র। তাঁর তৈরি শোলার ‘মিনি’ দুর্গাপ্রতিমা কয়েকবার বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে। এমনকী, তিনি বিদেশে গিয়ে প্রতিমায় শোলার কাজ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এহেন শম্ভুবাবু বলেন, শোলার দাম প্রচণ্ড বেশি। ফলে, অনেক উদ্যোক্তাই এমুখো হচ্ছেন না। শোলার শিল্প আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বরাত যা পাচ্ছি নিতান্তই ছোটখাটো। শিল্পী সমর পাল বলেন, শোলার কাজ করে এখন আর লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই জরির কাজে হাত লাগাতে হয়েছে। শোলার অলঙ্কার তৈরি বেশ পরিশ্রম সাপেক্ষ। তুলনায় জরির অলঙ্কার তৈরি সহজ। সময়ও কম লাগে। ফলে আমরাও সেদিকে ঝুঁকেছি। উদ্যোক্তারা চাইছেন কম পয়সায় বাজিমাত করতে। ফলে, জরির চাহিদা বাড়ছে। মৃৎশিল্পী কমল পাল বলেন, একটা সময় দুর্গাপ্রতিমার সাজসজ্জায় শোলার কাজকর্মই ছিল বেশি। অন্য কিছু ভাবাই হতো না। দিন দিন শোলার উৎপাদনও কম হচ্ছে। শোলার কারিরেদের মজুরিও অনেক বেড়েছে। এত করেও যদি একটু লাভের মুখ না দেখা যায়, তাহলে শুধু ঐতিহ্যকে আগলে রেখে কী লাভ?
কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির সভাপতি রঘুনাথ রুদ্র পাল বলেন, একটা সময় শোলাশিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষ যুক্ত ছিলেন। তাঁদের সংখ্যাটা খুব কমে গিয়েছে। মূল কারণ, শোলার শিল্পের অনেক বেশি দাম। বহু মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। অথচ, একটা সময় অবধি শোলার কারুকার্য শোভিত একচালার দুর্গাপ্রতিমার ব্যাপক চাহিদা ছিল। এখন ওই প্রতিমার বরাত অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে।