উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
শহরে সোনার দর চড়তে শুরু করেছিল মাসখানেক ধরেই। কিন্তু তা এতটা দ্রুত গতিতে বাড়েনি, যতটা হয়েছে গত কয়েকদিনে। পাকা সোনার প্রতি ১০ গ্রাম ৪০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল শুক্রবারই। শনিবার তা আরও এক ধাপ বাড়ে। কলকাতায় শনিবার পাকা সোনা, অর্থাৎ ২৪ ক্যারেট সোনার দশ গ্রাম পিছু দর গিয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫০ টাকা। ঠিক একদিন আগে তা ছিল ৪০ হাজার ৫১০ টাকা। রবিবার বাজার বন্ধ থাকার পর, সোমবারই একলাফে প্রায় ৮০০ টাকা দাম বেড়ে যায় হলুদ ধাতুর।
দামবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সবচেয়ে বড় আকারে উঠে আসছে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি। মার্কিন ড্রোনে ইরানের সেনা কর্তার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই আন্তর্জাতিক বাজার টলমল হতে শুরু করে। কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পরই আমেরিকার বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের ৫২টি এলাকা আমেরিকার নিশানায় আছে। ইরান যদি কোনও রকম হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে সেগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। দুই দেশের এই টানাপোড়েনে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর বেড়ে যেতে শুরু করে। টালমাটাল বাজারের ঝুঁকি এড়াতে তথাকথিত নির্ভরযোগ্য লগ্নি হিসেবে সোনাকে বেছে নিতে শুরু করেন লগ্নিকারীরা। আর তাতেই বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করে সোনার দাম। তবে কলকাতা বা দেশে সোনার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে অন্য ইন্ধনও আছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। একদিকে টাকার পতন, অন্যদিকে সোনার উপর ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের ভার— এই দু’টি কারণও সোনার দরে আগুন লেগেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এদিকে সোনার পাশাপাশি আমেরিকা-ইরানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারেও। সোমবার এক ধাক্কায় প্রায় ৭৮৮ পয়েন্ট পড়ে যায় বিএসই’র শেয়ার সূচক সেনসেক্স। গত ছ’মাসে একদিনে এটাই সেনসেক্সের সর্বোচ্চ পতন। সোমবার ১.৯০ শতাংশ পড়ে সেনসেক্স ৪০ হাজার ৬৭৬.৬৩ পয়েন্টে থিতু হয়। এদিন জাতীয় শেয়ার সূচক নিফটির পতন হয়েছে ১.৯১ শতাংশ। ২৩৩.৬০ পয়েন্ট পড়ে দিনের শেষে নিফটি দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৯৩.০৫-এ। পাল্লা দিয়ে সোমবার পড়েছে টাকার দাম। এদিন মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার বিনিময়মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৯৩ পয়সা।