উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কতটা বাড়ছে দাম? প্রথমেই আসা যাক প্যাকেজের কথায়। ‘স্টার’ জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি তারা অধিকাংশ প্যাকেজের দাম বাড়াতে চলেছে। উদাহরণ স্বরূপ, বাংলা চ্যানেলগুলির যে প্যাকেজের দাম ৪৯ টাকা ছিল, তা ৫৯ টাকা করা হচ্ছে। একইভাবে ৭৯ টাকার প্যাকেজ করা হচ্ছে ৮৯ টাকা। ৫১ টাকার প্যাকেজ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৬৯ টাকা। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের দাবি, দাম বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত চ্যানেলও জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্যাকেজগুলির সঙ্গে। জি এন্টারটেনমেন্টও ঘোষণা করেছে তাদের প্যাকেজের দর। যেমন, বাংলা চ্যানেলগুলিকে সঙ্গে রেখে যে ফ্যামিলি প্যাক রাখা হয়েছিল ৩৯ টাকায়, তা বাড়িয়ে ৪৩ টাকা করা হয়েছে। এইচডি ফ্যামিলি প্যাকেজও ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে। বাংলা সব চ্যানেলের মিলমিশে এইচডি প্যাকেজ ৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০ টাকা। ‘টিভি ১৮’ বা ‘ভায়াকম ১৮’ এবং সোনি পিকচার্সও তাদের বিভিন্ন প্যাকেজের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বলে খবর। এমনকী কোনও অফার ছাড়াই যে দরে চ্যানেলগুলি চলে, তারও কয়েকটির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকটির বর্ধিত দাম ঘোষণাও হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারিই নতুন দাম চালু হওয়ার কথা।
পুজোর সময় প্রায় ৩০টি চ্যানেল দাম কমানোর ‘অফার’ চালু করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অফারের কারণে যদি কোনও চ্যানেলের দাম কমে, তাহলে অফার শেষে তা আবার আগের দরে ফিরে আসে। যদি অফার শেষেও কমে থাকা দামই চালু রাখতে চায় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, তাহলে তা ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু এখনও তেমন ঘোষণা হয়নি। বরং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যানেলের যে আলাদা আলাদা দর ঘোষিত হয়েছে, সেখানে অফারে থাকা চ্যানেলের অধিকাংশরই পুরনো দাম ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী বলছে ট্রাই? তাদের বক্তব্য, বিভিন্ন চ্যানেল সংস্থা নিজেদের মতো করে যে প্যাকেজ চালু করে, তাতে অনেক টাকা ছাড় দেওয়া হয়। প্যাকেজে থাকা চ্যানেলগুলির আলাদা আলাদা যে দাম, তার যোগফলের সঙ্গে ওই প্যাকেজের দরের কোনও সাযুজ্জ্য নেই। তাতে লাগাম দিতেই তারা চ্যানেলের দর নিয়ে কিছু শর্ত আরোপ করেছে। বলা হয়েছে, ১২ টাকা বা তার নীচে যে সব চ্যানেলের দর, শুধু সেগুলিকেই বোকে বা প্যাকেজে রাখা যাবে। এর থেকেই স্পষ্ট, ১৯ টাকা বা ১৫ টাকার বহু জনপ্রিয় চ্যানেল কোনও প্যাকেজে থাকবে না।