কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এমনিতেই এবার উৎসবের মরশুমে টাকার অভাব ছিল সর্বত্র। সেই খামতি এখন যে নেই, তাও নয়। অন্যান্যবার পুজোর অন্তত মাসখানেক আগে থেকে কেনাকাটার ধুম পড়ে। পকেটে তেমন জোরদার রেস্ত না থাকায়, এবার তেমনটা হয়নি। দোকানিরাই বলছেন, দিন পনেরো আগে থেকে একটু একটু করে বাজার জমছিল। গত দিন দশেকে তা পরিচিত রূপ ধারণ করেছে।
ঘুরে ঘুরে পুজোর বাজার সারতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা অন্তত একবার ধর্মতলা-নিউমার্কেট চত্বরে ঢু দেবেন না, তা হয় না। এই জনপ্রিয় বাজারটির দাবিদার যতটা নগরবাসী, শহরতলির বাসিন্দারাও তার চেয়ে কম কিছু নয়। এদিন দুপুরের গোড়াতেই শহরতলিতে তুমুল জল ঢেলেছে বর্ষা। শহরেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে কিছুক্ষণের জন্য। কিন্তু উৎসাহে টাল খায়নি। শহরতলি থেকে মানুষ মেট্রোর ট্রেনে চড়ে এসেছেন ধর্মতলায়। একেবারে চেনা ছকে কালো মাথায় ভরেছে ধর্মতলা চত্বর। চলেছে দেদার দামাদামি। পকেটমার আর কাদা-জল বাঁচিয়ে ওই ভিড়ের মধ্যেও বহু যত্নে নিজের পছন্দের পোশাকটি কিনে নিয়েছেন ক্রেতা। বিভিন্ন দোকান ও মলের সামনে মাইক ফুঁকে পুজোর নানা অফার ঘোষণা করেছে একাধিক সংস্থা। সেখানেও ভিড় জমিয়েছেন মানুষ।
একই ছবি উত্তর কলকাতাতেও। সেখানে বি টি রোডের সমস্যার কারণে উত্তর শহরতলির মানুষ হয়তো হাতিবাগান-শ্যামবাজারে আসতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু তাতে কী! প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাকটি কিনতে ওটুকু কষ্টকে লঘু করে দেখেছেন তাঁরা। আর যাঁরা মোটামুটিভাবে জামাকাপড় কিনে ফেলেছেন এবারের উৎসবের জন্য, তাঁরা বালিশের কভার, বেডকভার বা কুশনের ঢাকনা কিনতে শেষবেলায় হেঁটেছেন রাস্তার ধার ঘেঁষে। একই চিত্র গড়িয়াহাটেও। এখানে সিল্কের নামী শোরুমের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ফুটপাতের সুতির স্কার্ট। ঝুটো গয়নার দোকানে তেমনভাবে দরাদরি করতে না পেরে হতাশ হননি তরুণী। অমোঘ তাড়নায় পৌঁছে গিয়েছেন পরের দোকানে। শেষ লগ্নে এভাবেই শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ মেতেছে পুজো শপিংয়ে।