কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এক কর্তার কথায়, এমন বহু পর্যটক রয়েছেন, যাঁরা হয় ট্রেনের নিশ্চিত টিকিট বা হোটেল না পেয়ে পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার হাল ছেড়েই দিয়েছেন। আমাদের প্যাকেজগুলি সেইসব পর্যটকদের কাছে মেঘ না চাইতেই জলের মতো দাঁড়াবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দার্জিলিং ভ্রমণে পর্যটকদের কার্শিয়াং থেকে টয় ট্রেনে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। টয় ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থাও সংস্থার পক্ষ থেকে করে দেওয়া হবে। পর্যটকদের কোনও হ্যাপা পোহাতে হবে না। রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে যেহেতু চার মাস আগে থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের আসন সংরক্ষণের নিয়ম চালু রয়েছে, তাই পুজোর ছুটির সময়ের ট্রেনগুলির বুকিংও বহু আগেই শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় ট্রেনগুলির সব আসনই পূরণ হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলিতেও ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। কেবল ট্রেন নয়, থাকার জন্য হোটেল, এমনকী ঘোরার গাড়ি পেতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই অবস্থায় দার্জিলিং এবং নামচি সহ গ্যাংটক ঘোরানোর আয়োজনে বহু পর্যটকের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন আইআরসিটিসির কর্তারা।
সংস্থা সূত্রের খবর, এই দুটি প্যাকেজে যাত্রার সূচনা হবে আগামী ১৮ অক্টোবর। দু’টি প্যাকেজই পাঁচ রাত ও ছ’দিনের। ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে। পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ‘এক্সক্লুসিভ’ এসি কোচে। টয় ট্রেনে সফর সহ দার্জিলিং ভ্রমণের প্যাকেজের মূল্য রাখা হয়েছে জনপ্রতি ২৩,৪১০ টাকা। নামচি সহ গ্যাংটক ভ্রমণের প্যাকেজমূল্য ১৭,৩৫০ টাকা। প্যাকেজের মধ্যেই থাকছে ট্রেনের টিকিট, হোটেলে থাকা, খাওয়া ও ঘোরার খরচ। আগামী ৮ নভেম্বর বারাণসী-এলাহাবাদ ভ্রমণের প্যাকেজে যাত্রার সূচনা হবে হাওড়া স্টেশন থেকে। চার রাত ও পাঁচ দিনের এই প্যাকেজের মূল্য ১৩,৯৭০ টাকা। প্রতিটি প্যাকেজেই ট্রেন ভ্রমণে প্রবীণ নাগরিকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ‘লোয়ার বার্থ’ দেওয়া হবে বলে খবর। সংস্থার এক কর্তা বলেন, দপ্তরে এসে তো বটেই, অনলাইনেও বুকিং করা যাবে। কেউ চাইলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও প্যাকেজের খুঁটিনাটি জানিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু নিয়মিত ট্রেনগুলি প্রায় হাউসফুল, সেক্ষেত্রে পুজোর বিশেষ ট্রেনগুলির অবস্থা কেমন? পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ ট্রেন ঘোষণা করা হয়েছে। তার বুকিংও শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ সহ বিভিন্ন গন্তব্যে টিকিটের চাহিদা বিচার করে দেখা হচ্ছে। দরকারে আরও বিশেষ ট্রেন চালানো হবে।