কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী ও কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন, রাজ্য মাংস ও ডিম তৈরির ক্ষেত্রে স্বয়ম্ভর হোক। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের নজরদারিতে বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাণী সম্পদ, গ্রাম পঞ্চায়েত বিভাগ উদ্যোগে এই কাজটি প্রায় শেষের মুখে। কিছুদিনের মধ্যে ডিম উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। এর ফলে এর সঙ্গে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা ডিম ও মাংস বিক্রিতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে। পাশাপাশি এখান থেকেই স্কুলগুলির মধ্যাহ্নকালীন আহারে সস্তায় ডিমের জোগান দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাজার সদস্যাকে মাথাপিছু ১০টি করে প্রায় দশ হাজার মুরগির বাচ্চা দেওয়া হয়েছে। মহিলা সদস্যরা বাচ্চাগুলিকে বাড়িতে রেখেই পালন করছেন। তাদের বড় করা থেকে ওষুধসহ যাবতীয় সহযোগিতা দিচ্ছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এজন্য মহিলাদের মধ্যে থেকে তিনজনকে চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। বাচ্চাগুলি পাঁচ মাস বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করবে। এখন মুরগির বয়স চার মাস হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ডিম দেবে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এবার এখান থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় আড়াইশো থেকে তিনশোর মতো ডিম সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হবে হ্যাচারিতে। সেই হ্যাচারি তৈরি করে দিচ্ছে এনআরইজিএস। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি পোলট্রি ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। সবগুলির কাজও শেষের মুখে। তবে হ্যাচারিতে আধুনিক মেশিনের সাহায্য নিয়ে ডিম থেকে ফের বাচ্চা ফোটানোর জন্য এসি মেশিনসহ যাবতীয় পরিকাঠামো গড়তে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করছে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী। কারণ, মুরগির বাচ্চা থেকে ডিম, ফের ডিম থেকে বাচ্চা পুরো প্রক্রিয়াটির পর বাজারজাত করবে তারাই। এই মডেল প্রকল্পটি সফল হলে গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।