কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এবারের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (বিজিবিএস)-এ অংশগ্রহণ করতে এসেছিল ফিনল্যান্ডের শিল্পোদ্যোগীদের একটি দল। সেই দলে ছিলেন রাজধানী হেলসিঙ্কি সহ আশপাশের এলাকার জঞ্জাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরাও। বিজিবিএস প্রাঙ্গণেই ফিনল্যান্ডের ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শহর প্রসঙ্গে একদফা আলোচনা সেরে নেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। মহানগরীর জঞ্জাল সমস্যা নিরসনে এই প্রকল্প অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠতে পারে— বিষয়টি উপলব্ধি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অনুমোদন মেলার পরেই এই প্রসঙ্গে ফিনল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা শুরু করেছে রাজ্য। শোভনদেববাবুর কথায়, ওরা (ফিনল্যান্ড) গোটা পৃথিবীতে ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্প গঠনে এক নম্বরে রয়েছে। এখানে জঞ্জাল পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ওরা রাজি হয়েছে। তবে কিছু শর্তও দিয়েছে। আমরা সেসব খতিয়ে দেখে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য ওদের সঙ্গে বৈঠক করব।
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিজেদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফিনল্যান্ডের বিশেষজ্ঞরা এখন জঞ্জাল পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ তৈরি করছেন, তার হিসেব হচ্ছে গিগাওয়াট পার আওয়ারে (জিডব্লুএইচ)। আর আমাদের এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সূচক হচ্ছে মেগাওয়াট (এমডব্লুএইচ) বা কিলোওয়াট (কেডব্লুএইচ) পার আওয়ার। এক গিগাওয়াট হচ্ছে ১০ লক্ষ কিলোওয়াট। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, প্রতিদিন ঠিক কত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন উপযোগী জঞ্জাল মিলছে ফিনল্যান্ডে।
প্লাস্টিক আর অন্যান্য বর্জ্যের প্রভাব যেখানে বেশি, সেখানে শুধুমাত্র শাক-সব্জি আর মাছ-মাংস নির্ভর জঞ্জাল কি মিলবে? বিদ্যুৎ দপ্তরের ওই আধিকারিকের কথায়, পর্যাপ্ত এহেন জঞ্জাল মেলাটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়লেই প্রকল্পটি সাফল্যের মুখ দেখবে। ওই আধিকারিকের কথায়, প্রকল্পটি গড়ার জন্য ফিনল্যান্ড যে সব শর্ত দিয়েছে, তাতে গ্রাহক স্বার্থের কথা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, তাপ বা জলবিদ্যুতের তুলনায় এই বিদ্যুৎ সস্তা হবে। পরিবেশ রক্ষায় অনেক বেশি সহায়ক হবে। তাছাড়া ফিনল্যান্ডের সংস্থার অন্যতম শর্ত হল, বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে লাভ হবে রাজ্যের, তার একটি অংশ গ্রাহকদের ইনসেনটিভ হিসেবে দিতে হবে। প্লাস্টিক বা ওই জাতীয় সামগ্রীর ব্যবহার কমাতে এবং সচেতনতা বাড়াতেই দেওয়া হবে ওই ইনসেনটিভ। বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, তবে সবেচেয়ে যেটা জরুরি, তা হল শহরবাসীর খাদ্যাভ্যাস। যত বেশি পরিমাণ শাক-সব্জি আর মাছ-মাংস, তত বেশি জঞ্জাল আর তত বেশি বিদ্যুৎ।