কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বের লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিল রোহিত বাহিনী। এবার চাকা ঘোরাতে মরিয়া নাইটরা। যদিও দীনেশ কার্তিকের দল ভালো ছন্দে নেই। গত ম্যাচে বিরাট কোহলির আরসিবি’র কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল তারা। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে কেকেআর। দলে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে বোলিংয়ে সুনীল নারিনের অভাব বেশ ভালোই অনুভূত হয়েছিল গত ম্যাচে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাবধানে এগোতে চাইছে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই নারিনকে নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।
ত্রয়োদশ আইপিএলে কেকেআরের বিদেশি ব্রিগেড প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। বিশেষ করে আন্দ্রে রাসেলকে একেবারেই মারকুটে মেজাজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্যাট কামিন্সও নতুন বলে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ইয়ন মরগ্যান খুব একটা ভালো ফর্মে নেই। টম ব্যান্টনও গত ম্যাচে হতাশ করেছিলেন। তাই মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হলে কেকেআরের বিদেশি ব্রিগেডকে অবিলম্বে হাল ধরতে হবে।
এই ম্যাচে শুভমান গিলের সঙ্গে কে ওপেন করবেন, সেটা এখনও অনিশ্চিত। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে টম ব্যান্টনকে গিলের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এই ম্যাচেও হয়তো কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আরও একবার গিল-ব্যান্টন জুটিকে দেখে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাহুল ত্রিপাঠিকে লোয়ার মিডল অর্ডারেই নামতে হবে। নীতীশ রানা, দীনেশ কার্তিকদের ব্যর্থতায় মিডল অর্ডার তেমন জমাট লাগছে না। তার উপর আন্দ্রে রাসেল যদি এভাবেই হতাশ করতে থাকেন, তাহলে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা দরকার কেকেআরের।
তুলনায় নাইটদের বোলিং কিছুটা হলেও মানরক্ষায় সফল। বিশেষ করে তরুণ পেসার কমলেশ নাগারকোটি, স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী কিন্তু প্রত্যাশা ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্যাট কামিন্স যদি নতুন বলে বিপক্ষ শিবিরে আঘাত হানতে পারেন, তাহলে মুম্বইয়ের রানের গতিতে লাগাম টানতে সুবিধা হবে বাকি বোলারদের। গত কয়েকটি ম্যাচে কুলদীপ যাদবকে খেলায়নি নাইট রাইডার্স। আবুধাবির উইকেট ক্রমশ মন্থর হয়ে পড়ছে। মাঠ বেশ বড়। সুনীল নারিন না খেললে দ্বিতীয় স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে কুলদীপের নাম প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে।
দুই দলই খেলেছে সাতটি করে ম্যাচ। মুম্বইয়ের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। আর কলকাতার ঝুলিতে ৮ পয়েন্ট। ফারাকটা আরও বাড়িয়ে নিয়ে চাইবে মুম্বই। এই ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন রোহিত শর্মা। এবারের টুর্নামেন্টে তিনি দু’টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। সবক’টিই আবুধাবির এই মাঠে। তাই রোহিতকে শুরুতেই ডাগ-আউটে ফেরাতে না পারলে বিপদে পড়বে কেকেআর। ওপেনার কুইন্টন ডি’কক খুব একটা ছন্দে নেই। তুলনায় সূর্যকুমার যাদব দারুণ সার্ভিস দিচ্ছেন দলকে। বাঁ-হাতি ঈশান কিষাণও মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা। মিডল অর্ডারে রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়া, কিয়েরন পোলার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়ার মতো দুর্দান্ত অলরাউন্ডার।
যশপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে ট্রেন্ট বোল্ট এবং জেমস প্যাটিনসনকে জুড়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংকে পেসের আগুনে ছারখার করে দেওয়াই লক্ষ্য মুম্বইয়ের। স্পিনার হিসেবে রাহুল চাহারের উপরই ভরসা রাখছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।