কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
ইংরাজি দৈনিক ‘দ্য স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন কিশোর ভিমানি। ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নিজস্ব ঘরানা তৈরি করেছিলেন তিনি। ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায় তাঁর আগ্রহের অন্ত ছিল না। পাশাপাশি ইংরাজিতে অনবদ্য জ্ঞান কিশোর ভিমানিকে সাংবাদিকতার আকাশে নক্ষত্র হিসেবে মেলে ধরে। ক্রিকেট নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন পাঠক মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের থেকেও আদায় করে নিয়েছিলেন অসীম সমীহ। আটের দশকে নিয়ম করে তাঁর প্রতিবেদন ছাপা হত বিভিন্ন ব্রিটিশ মিডিয়ায়।
ক্রীড়া সাংবাদিকতার পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন কিশোর ভিমানি। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল খুবই আকর্ষণীয়। ম্যাচ নিয়ে তুখোড় বিশ্লেষণ শ্রোতার মনে রেখাপাত করত। ধারভাষ্যকার কিশোর ভিমানিকে নিয়ে রবি শাস্ত্রীর স্মৃতিচারণা, ‘ইডেনে একটি টেস্টে আমি খারাপ শট খেলে আউট হয়েছিলাম। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কিশোর ভিমানি। যদিও সেই তিক্ততা মাঠেই ঝেড়ে ফেলেছিলাম।’প্রাক্তন স্পিনার বিষেণ সিং বেদি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘একজন ক্রিকেটার যেভাবে খেলে, ভিমানি সেভাবেই লিখতেন। তাই পাঠকদের পাশাপাশি খেলোয়াড়রাও ওর প্রতিবেদন পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। কিশোর ভিমানির আত্মার শান্তি কামনা করছি। আর ওর পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।’
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল কিশোর ভিমানির। ইডেনে খেলতে এসে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন কিং খান। ক্রীড়া সাংবাদিকতা থেকে অবসর নিলেও লেখার অভ্যাস তিনি কখনও ছাড়তে পারেননি। বহু উপন্যাস তিনি উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। তাঁর শেষ প্রকাশিত উপন্যাস , ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল গডম্যান’।