অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এক সাক্ষাৎকারে সেতিয়েন বলেন, ‘আমি নেইমারের মতো একজন বিশ্বমানের ফুটবলারকে কোচিং করাতে সবসময় মুখিয়ে রয়েছি। সত্যি বলতে কী, মেসিকে কোচিং করানোর মাধ্যমে আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন নেইমারও আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে তা আমাকে আনন্দিত করবে।’ তবে নেইমারকে দলে পেতে হলে বার্সাকে অন্তত আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় গোটা বিশ্বে যে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তার হাত থেকে কাতালান ক্লাবটিও রেহাই পায়নি। ক্লাবের কর্মচারীদের বেতন মেটানোর জন্য ফুটবলাররা নিজেদের পারিশ্রমিকের ৭০ শতাংশ দান করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিপুল ট্রান্সফার অর্থ ব্যয় করে নেইমারকে নেওয়া যে তাদের পক্ষ সম্ভব নয়, সেটা আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। বরং একজন ভালো স্ট্রাইকারের খোঁজে রয়েছে তারা। সেই লক্ষ্যেই আর্জেন্তাইন ফুটবলার লাওটারো মার্টিনেজকে নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছে বার্সার টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ সেতিয়েনও চাইছেন এমন একজনকে সই করাতে, যিনি তাঁর সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবেন। সেই মতো চার-পাঁচজনের একটা তালিকাও তৈরি করেছেন তিনি। সেই তালিকায় যে মার্টিনেজ রয়েছে, সেটাও স্বীকার করে নেন বার্সা বস।
এদিকে, গত মরশুমের মাঝপথে বার্সেলোনা থেকে ১২০ মিলিয়ন ইউরোতে লিয়েনে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিয়েছিলেন আর এক ব্রাজিলীয় তারকা ফিলিপ কুটিনহো। তবে জার্মান ক্লাবটির হয়ে খুব একটা দাগ কাটতে পারেননি তিনি। তাই আগামী মরশুমে তাঁকে ধরে রাখার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখাতে নারাজ বায়ার্ন কর্তারা। বার্য়ান চেয়ারম্যান কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী মরশুমের দল নিয়ে আলোচনায় বসব। তারপর দেখতে হবে সেখানে কুটিনহোর কোনও প্রয়োজন রয়েছে কিনা।’ বার্য়ানের হয়ে এখনও পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন কুটিনহো। যার মধ্যে ১৫টিতে প্রথম একাদশে ছিলেন। ৮টি গোল করার পাশাপাশি ৬টি গোল করিয়েছেন তিনি। তবে আপাতত গোড়ালির চোটের কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন কুটিনহো।