প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের কবলে পুরো বিশ্ব। তার ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি ভারতও। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। এই কঠিন সময়ে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার বিবিধ পরামর্শ দিয়ে দু’দিন আগেই ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শচীন। লকডাউনের সময়ে সকলকে বাড়িতে থেকে জাতীয় দায়িত্ব পালনের অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি। মহামারীর আকার নেওয়া এই রোগের মোকাবিলায় এবার আর্থিক সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটারটি। শুক্রবার ৫০ লাখ টাকা দান করেছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’কে জানিয়েছেন, ‘করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর।’
উল্লেখ্য, ক্রিকেট ছাড়ার পর বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন শচীন। লিপ্ত হয়েছেন জনসচেতনতামূলক কাজেও। অনেক মানুষকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। তবে সেসব প্রকাশ্যে আনার কোনও চেষ্টাই তিনি করেননি। সম্প্রতি শচীনকে দেখা গিয়েছে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে অংশ নিতে। সেখানে ব্রায়ান লারা, বীরেন্দ্র সেওয়াগের মতো তারকা ক্রিকেটাররাও খেলতে নেমেছিলেন অবসর ভেঙে। মানুষের মধ্যে পথ নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতেই এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সামনে এগিয়ে এলেন লিটল মাস্টার।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্থিক সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। পুনের একটি সংস্থার মাধ্যমে ১০০টি দরিদ্র পরিবারকে ১৪ দিনের খরচ বাবদ এক লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো সত্ত্বেও সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক । বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েও মাত্র এক লাখ টাকা! ধোনিকে তুলোধোনা করছেন নেটিজেনরা। ট্যুইটারে একজন লিখেছেন, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনির সম্পদের মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই দিক থেকে কী বড় অঙ্কের অনুদানটাই তিনি দিয়েছেন! ধন্য ধোনি!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯’এর মোকাবিলায় ১০০টি দরিদ্র পরিবারকে ধোনির এই সামান্য দান ভাবাই যায় না! আমি সত্যিই বিস্মিত।’ কেউ আবার মজার ছলে মন্তব্য করেছেন, ‘চেকে এক কোটি লিখতে গিয়ে ভুল করে এক লাখ লিখে ফেলেননি তো ধোনি! আমার তো মনে হয়, এটা সিলি মিসটেক।’
করোনা মোকাবিলায় আগের দিন সরকারি তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি দুস্থ পরিবারগুলিকে ৫০ লক্ষ টাকার চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠান বারোদা পুলিস ও স্বাস্থ্য বিভাগকে ৪ হাজার মাস্ক দিয়েছেন। এছাড়া এদিন ৪২ লক্ষ টাকা অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয় সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২১ লক্ষ এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২১ লক্ষ টাকা দেবে সংস্থাটি।