কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
লিয়ঁ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম পর্বের ম্যাচে জুভেন্তাসকে হারিয়ে অঘটন ঘটাল লিয়ঁ। গোটা ম্যাচে ৬৪ শতাংশ বল পজেশন এবং ছশোরও বেশি পাস খেলা সত্ত্বেও গোলের দেখা পেলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো-পাওলো ডায়বালারা। ৩১ মিনিটে লিয়ঁর একমাত্র গোলটি করেন টুসার্ট। ঘরের মাঠে টানা ৯টি ম্যাচ জেতার পর ফরাসি ক্লাবটির কোচ রুডি গার্সিয়া বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে দুর্গ অটুট রাখাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। চেয়েছিলাম, প্রতি-আক্রমণে গোল তুলে নিতে। ছেলেরা আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছে। প্রথমার্ধে আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছি। বিরতির পর জুভেন্তাস গোলশোধের মরিয়া চেষ্টা চালায়। এই পর্বে ডিফেন্ডাররা কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়েছে।’
লিয়ঁর বিরুদ্ধে পছন্দের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন ‘ওল্ড লেডি অব তুরিন’এর কোচ মরিসিও সারি। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে তাঁর ফুটবলারদের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ভেদশক্তির অভাব সুস্পষ্ট। ৬ মিনিটে রোনাল্ডোর বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি কুয়াদ্রাদো। ২২ মিনিটে একাম্বির ব্যাকহেড বিপক্ষ গোলরক্ষক সেজনিকে হার মানিয়ে ক্রসপিসে ধাক্কা খায়। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লিয়ঁকে। ৩১ মিনিটে বাঁ দিক থেকে অওয়ারের পাস পেয়ে গোল করতে ভুল হয়নি টুসার্টের (১-০)। বিরতির আগে একাম্বি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে লিয়ঁ ব্যবধান বাড়াতেই পারত। এই পর্বে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে বিপক্ষ রক্ষণে ত্রাসের সঞ্চারে ব্যর্থ সিআরসেভেন। এটাও ঠিক যে, আর্জেন্তাইন তারকা পাওলো ডায়বালাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেননি।
বিরতির পর সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে অ্যারন র্যামসে ও গঞ্জালো ইগুয়েনকে মাঠে নামান জুভেন্তাস কোচ সারি। কিন্তু এই দুই তারকার অন্তর্ভুক্তি বিপক্ষের উপর চাপ বাড়ালেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ডায়বালা ও ইগুয়েন। লিড ধরে রাখার জন্য শরীর নির্ভর ফুটবল খেলে লিয়ঁ। অন্তিম পর্বে বিপক্ষ বক্সে পড়ে গিয়ে ডায়বালা ও রোনাল্ডোর পেনাল্টি আদায়ের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এছাড়া লিয়ঁর ‘লাস্ট লাইন অব ডিফেন্স’ অ্যান্টনি লোপেজ তৎপর থাকায় জয়ের স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়েন রুডি গার্সিয়া।
ম্যাচ হেরে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ জুভেন্তাস প্রশিক্ষক মরিসিও সারি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা সেভাবে আক্রমণ গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিরতির পর গোল শোধের চেষ্টা চালিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য, তা সফল হয়নি। তবে শেষ আটে ওঠার আশা এখনও জুভেন্তাসের আছে। ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ স্টেডিয়ামে ফিরতি পর্বের ম্যাচ বাকি। ওদিন যে কোনও মূল্যেই জিততে হবে।’