নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আই লিগে বাকি ৭টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জিতলেই খেতাব পকেটে পুরে ফেলবে মোহন বাগান। বর্তমানে তাদের সংগ্রহ ১৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। খেতাবি দৌড়ে বাগানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চার্চিল ১২ ম্যাচে ১৯ পেয়েন্টে দাঁড়িয়ে। বাকি ৮ ম্যাচ জিতলে গোয়ান ক্লাবটির পয়েন্ট হবে ৪৩। আর বাকি ম্যাচগুলিক প্রত্যেকটিতে জয় পেলে পাঞ্জাব এফসি (১৩ ম্যাচে ২১ ) ও রিয়াল কাশ্মীর (১২ ম্যাচে ১৮) পৌঁছবে ৪২ পয়েন্টে। ফলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য কিবু ভিকুনা-ব্রিগেডের প্রয়োজন আর ১২ পয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে সমথর্করা লিগ জয়ের আগাম সেলিব্রেশনে ব্যস্ত। তবে কোচ কিবু ভিকুনা অবশ্য খেতাব নিয়ে এখনই বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে নারাজ। আত্মতুষ্টিকে দূরে রাখার জন্য তিনি ড্রেসিং-রুমেও ফুটবলারদের সতর্ক করে দিয়েছেন। এই অভিজ্ঞ কোচ জানেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। শেষ পর্বে পচা শামুকে পা কাটতেই পারে।
আই লিগের প্রথম দু’ম্যাচে পয়েন্ট নষ্টের পর ভিকুনাকে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা ছিল অনেকেরই মধ্যে। যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিয়েছে তাঁর দল। নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে মুনোজ-বেইতিয়ারা গড়ে তুলেছেন জয়ের অভ্যাস। শুধু তাই নয়, ধারাবাহিকভাবে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল মেলে ধরছেন তাঁরা।
চার্চিল ম্যাচ জয়ের পর শহরে ফিরে সোমবার ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন বাগান কোচ। মঙ্গলবার অনুশীলনে নেমে পড়লেন শঙ্কর রায়-আশুতোষ মেহতারা। অফিসের ম্যাচ থাকায় এদিন আসেননি ধনচন্দ্র সিং। চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে পুরানো জায়গায় চোট পাওয়া ড্যানিয়েল সাইরাসকে ছাড়াই ট্রাউ ম্যাচে দল সাজাতে হবে সবুজ-মেরুন কোচকে। এদিন অনুশীলনে ফিজিক্যাল ট্রেনার পাউলিয়াসের তত্ত্বাবধানে রিহ্যাব করেন এই ক্যারিবিয়ান ডিফেন্ডার। পাশাপাশি এদিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি বাগানের অপর ডিফেন্ডার ফ্রান মোরান্তেও। যদিও ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে তিনি খেলবেন। উল্লেখ্য, কার্ড সমস্যায় পরের ম্যাচে নেই আশুতোষ মেহতা। এছাড়া তিনটি করে হলুদ কার্ড দেখেছেন বেইতিয়া, মোরান্তে, মুনোজ ও গুরজিন্দর। ট্রাউ ম্যাচে এই চারজনের কেউ কার্ড দেখলে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর সার্ভিস পাওয়া যাবে না।
সালভা চামোরোর পরিবর্তে পাপা দিওয়ারা আসার পরে মোহন বাগান আপফ্রন্টকে অনেক শক্তিশালী দেখাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯টি ম্যাচে ৭ গোল করেছেন সেনেগালের স্ট্রাইকারটি। পাপা অবশ্য নিজের গোলের চেয়েও দলের পারফরম্যান্সকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এদিন অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, ‘গোল পেলে ভালোই লাগে। তবে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগতে চাই।’