কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মনোজ তিওয়ারির অপরাজিত ১৫৬ রানের উপর ভর করে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় খাড়া করতে চলেছে বাংলা। রবিবার, কল্যাণীতে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৫ উইকেটে ৩৬৬ রান। সচরাচর রনজি ট্রফিতে এত দ্রুত রান তুলতে দেখা যায় না বাংলার ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু মনোজ তিওয়ারি ও শ্রীবৎস গোস্বামী অসাধারণ ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। খাতা খুলতে পারেননি ওপেনার অভিষেক রামন। ১২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণও। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিন নম্বরে নামিয়ে দেওয়া হয় তরুণ কাজী জুনেইদ সইফিকে। শুরুটা ভালো করেও তিনি ২৭ রানে আউট হয়ে যান। হায়দরাবাদকে শুধু হারানো নয়, বোনাস পয়েন্ট পাওয়ার টার্গেট করেছে বাংলা দল। কিন্তু পরপর তিনটি উইকেটের পতনের পর বোনাস তো দূরে থাক, বড় স্কোর খাড়া করতে পারা নিয়েই তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে অনুষ্টুপ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে মনোজ তিওয়ারি ১১২ রান যোগ করেন। ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাও।
অনুষ্টুপ ৫৯ রানে আউট হওয়ার পর মনোজকে যোগ্য সঙ্গত দেন শ্রীবৎস গোস্বামী। তাঁরা তোলেন ১৯০ রান। ১৫০ বল খেলে ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করেন মনোজ। সেই সঙ্গে পঙ্কজ রায়কে (২১টি) টপকে বাংলার হয়ে রনজি ট্রফিতে সর্বাধিক শতরানকারী অরুণ লালের রেকর্ড (২২টি) স্পর্শ করলেন তিনি। এই পরিসংখ্যান জানার পর মনোজের প্রতিক্রিয়া, ‘এ এক দারুণ অনুভূতি।’ অরুণ লালের মন্তব্য, ‘মনে পড়ছে না রনজিতে ক’টা সেঞ্চুরি রয়েছে আমার। তবে মনোজের এই কীর্তিতে আমি খুশি। ও এরকম খেললে রনজিতে বাংলা ভালো ফল করবে।’
শুধু যে তারুণ্যের ধ্বজা উড়িয়ে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়, সেটা অন্তত বুঝিয়ে দিলেন মনোজ, অনুষ্টুপ ও শ্রীবৎস। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় দিনের শেষ লগ্নে শ্রীবৎস ৯৫ রানে আউট হয়ে যান। ২১২ বলের ইনিংসে ১৫টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মনোজ। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে আছেন শ্রেয়ান চক্রবর্তী (০)।
উইকেটে খুব বেশি টার্ন দেখা যায়নি প্রথম দিনে। তাই বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট প্রথ ইনিংসে চাইছে পাঁচশোর বেশি রান। সেক্ষেত্রে মনোজের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বোনাস পয়েন্ট সহ জেতা। আর সেটার জন্য একবারই ব্যাট করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তিন উইকেটে পড়ে যাওয়ার পর আমরা গুটিয়ে যায়নি। অনেক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছি। ছ’টা ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। যা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এটা আমার অন্যতম একটা সেরা রনজি ইনিংস। অসাধারণ ব্যাট করেছে শ্রীবৎস। ও সেঞ্চুরি না পাওয়ায় খারাপ লাগছে।’
মনোজ আরও বলেন, ‘যে দলে অরুণ লাল, উৎপল চ্যাটার্জির মতো বাংলার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটাররা রয়েছে কোচ হিসেবে, সেই দল তো ভালো খেলবেই। তরুণদের সুযোগ যেমন দিতে হবে, তেমনি সিনিয়রদের ভুলে গেলেও চলবে না।’