পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
কোনও জায়গা থেকে ‘নেগেটিভ ফিডব্যাক’ এলেই তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করছে নেতৃত্ব। মুহূর্তেই মধ্যেই করা হচ্ছে ড্যামেজ কন্ট্রোল। কোনও বুথকেই হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। ভোটের দিন যাতে কোনওভাবেই ভোট বাক্সে প্রভাব না পড়ে, পাশাপাশি বিরোধীরাও যাতে সিঁধ কেটে ঢুকে না পড়তে পারে, সেইদিকে নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, ঈদ থেকে বর্ষবরণ পর্যন্ত উৎসবের মরশুম উপলক্ষ্যে ম্যারাথন প্রচারে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিয়েছেন ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। আবার বর্ষবরণের পর প্রচারে নামবেন তিনি। এই সময়ে গ্রাউন্ড জিরোতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থার তদারকির কাজ করবেন।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের জয় নিশ্চিত। আমরা নিয়মিত গ্রাউন্ড জিরোর কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে সকলের নজর রয়েছে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের দিকে। তৃণমূলের থেকেও বিজেপির কাছে এই কেন্দ্রটি বেশি করে প্রেস্টিজ ফাইটের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার অন্যতম কারণ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পার্লামেন্টে থেকে বহিস্কার করা।
এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগর আসন বের করে আনতে না পারলে মুখ পুড়বে গেরুয়া নেতৃত্বের। তাই কৃষ্ণনগর শহরের ‘আদি’ পরিবারের গৃহবধূকে প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। যদিও তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। মহুয়া আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। গেরুয়া প্রার্থীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে কৃষ্ণনগরে।
এদিকে ময়দানের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ মহুয়া। বহিষ্কারের পর থেকে লড়াইয়ের ঘুঁটি সাজিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ১৮৪১টি বুথ রয়েছে। জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বুথভিত্তিক সংগঠনের জোর দিয়েছেন। নিচুতলার নেতৃত্বেও ঝাড়াইবাছাই হয়েছে। প্রাথমিক কাজ শেষ করে তবেই প্রচারে নেমেছেন মহুয়া মৈত্র। গত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত এলাকায় বিজেপির লিড ছিল সেখান থেকেই প্রচার শুরু করেন। ২৮ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ম্যারাথন প্রচার চলে।
শুধু প্রার্থীর প্রচারই নয়, জেলার বাকি এলাকাতেও কড়া নজর রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট পর্ব শুরুর আগে গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে বুধ ভিত্তিক ফলাফলের রিপোর্ট আগেই তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে সেই সমস্ত বুথ কী অবস্থায় রয়েছে তার নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সহজ কথায়, দলের অন্দরেই সমীক্ষা চালাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। দলের এক কর্মীর কথায়, কোথাও কোনও খামতি থাকছে কিনা তা জানা হচ্ছে বুথ সভাপতিদের ও অঞ্চল সভাপতিদের থেকে। বিশেষ করে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হারা বুথগুলিতে ভোট কতটা বেড়ছে তার হিসাব করা হচ্ছে। পাশাপাশি কোনও বুথ থেকে যদি নেগেটিভ ফিডব্যাক আসে তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।