পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, তীব্র গরমে পাতি লেবুর চাহিদা রয়েছে। সেই তুলনায় আমদানি কম। যে কারণেই দাম বেড়েছে লেবুর। মানবাজারের কৃষক বাজার থেকে শুরু করে শহরের বেশ কিছু দোকানদার খুচরো ও পাইকারিতে লেবু বিক্রি করেন। সব জায়গায় লেবু কিনতে গিয়ে ঘাম ছুটছে ক্রেতাদের। এই সময় চড়া রোদে কাজ সেরে বাড়ি ফিরে অনেকেই শরবতে গলা ভেজান। সেই শরবতে একটু লেবু থাকলে এনার্জি আসে। টকটক স্বাদ রোদে গরমে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া লেবু সহজ লভ্য ও দাম কম সেই কারণে সাধারণ মানুষ লেবু বেছে নেন। ভোটের মরশুমে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার চলছে। রোদের মধ্যেও দলের নেতা থেকে কর্মী সমর্থকরা প্রচার করছেন। নিজেদের এনার্জি ধরে রাখার জন্য অনেকেই লেবুর শরবতকে বেছে নিচ্ছেন। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলির তরফে বিভিন্ন জায়গায় জলছত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রয়েছে বিয়ের মরুশুম। যে কারণে চাহিদা বিপুল। তাই দাম বেড়েছে। ক্রেতারা জানাচ্ছেন আগে যেখানে ১০টাকায় বড় সাইজের তিনটি লেবু পাওয়া যেত একটু ছোট হলে চারটেও মিলত। কিন্তু, এখন এক পিসের দামই ১০ টাকা।
মানবাজার কৃষক বাজারে বাজার করতে এসেছিলেন সঞ্জয় সর্দার। তিনি বলেন, সব্জির সঙ্গে বাড়ির লোক শরবত খাওয়ার জন্য পাতি লেবু নিয়ে যেতে বলেছিল। আগে ১০ টাকায় তিনটে লেবু পাওয়া যেত। এখন দাম তিনগুণেরও বেশি হয়েছে। তাই ১০ টাকায় একটা কিনে বাড়ি ফিরছি।
সেখানকার বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গরমের কারণে লেবুর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। তাছাড়া এই সময় বিয়ের মরশুম চলছে। ভোজের শুরুতেই পাতে নুন, লেবু দেওয়ার চল রয়েছে। তাই আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। আগে একপিস লেবু তিন থেকে চার টাকা দরে বিক্রি হতো। একটু ছোট মাপের লেবু ১০টাকায় চারটেও বিক্রি করা যেত। কিন্তু, এখন বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
চিকিৎসকরা চড়া রোদে ডাবের জলের পাশাপাশি লেবুর শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের পক্ষে উপকারি। লেবুর সঙ্গে নুন-চিনি মিশিয়ে শরবত খেলে শরীরে এনার্জি আসে। ডাবের দাম একটু বেশি। অনেকেই ডাবের জল খেতে পারেন না। তীব্র গরমে শরীর চাঙ্গা রাখতে তাই ভরসা করেন লেবুর শরবত। দামের কারণে সেই লেবু কিনতেও ঘাম ঝরছে অনেকের।