পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের নির্বাচনের সঙ্গেই ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনমুখী প্রকল্পের উপর ভরসা করেই মানুষ সমর্থন করবে বলে আশাবাদী শাসকদল। ভগবানগোলা বিধানসভা আসনটি বরাবরই বাম অথবা কংগ্রেসের দখলে ছিল। ২০১১ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতে পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ওই আসন থেকে বাম প্রার্থী মহসিন আলি জেতেন। ২০২১ সালে বামেদের কাছ থেকে আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী হন ইদ্রিস আলি। তৃণমূলের প্রার্থী এক লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৯৫ ভোট পান। প্রতিপক্ষ সিপিএমের মহম্মদ কামাল হোসেন ৪৭ হাজার ৭৮৭ ভোট পান। অপরদিকে বিজেপির মেহেবুব আলমের প্রাপ্ত ভোট ছিল মাত্র ১৬ হাজার ৭০৭টি। এবারও আসনটি নিজেদের দখলের রাখার জন্য ঝাপিয়েছে তৃণমূল। রিয়াতের দাবি শুধু আসন দখলই নয়, আগের বারের মার্জিনকেও ছাপিয়ে যাব আমরা।
এদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ভাস্কর সরকার। ভগবানগোলা-২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অঞ্জু বেগমকে জোটপ্রার্থী। তবে, কংগ্রেস জোটসঙ্গীর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়ার পর সিপিএমের অন্দরে ক্ষোভ ছড়ায়। এখন অবশ্য সব ভুলে দু’দলকেই নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই বিধানসভার উপনির্বাচনে লোকসভার প্রার্থীরাও জোরকদমে প্রচার করছেন। তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বেশ কয়েকটি রোড শো এবং জনসভায় অংশ নিয়েছেন। কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ও বিজেপির গৌরী শঙ্কর ঘোষ এই কেন্দ্রে প্রচার করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই উপনির্বাচনে প্রার্থীর হয়েও ভোট চাইছেন।
তৃণমূল প্রার্থী রিয়াত হোসেন বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী। সাধারণ মানুষ খুব খুশি যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই এখানে উপনির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের মার্জিন বাড়বে বলেই মনে করছি। বিজেপি প্রার্থী ভাস্কর সরকার বলেন, এবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে ভগবানগোলায় শাসক বিরোধী ভোট হবে। তাই ভগবানগোলাতে পদ্মফুল ফুটবে। গত পঞ্চায়েতে তৃণমূল মানুষের ভোট লুট করেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। আর মানুষ তাদের ভোট দিতে পারলেই, আমরাই জয়ী হব। সিপিএমের ভগবানগোলা এরিয়া কমিটির সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ভগবানগোলা বাম-কংগ্রেসের ঘাঁটি। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে এনআরসি ও সিএএ’র ভয় দেখিয়ে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল। এবার সেটা হচ্ছে না।