পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
নবদ্বীপ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তমালতলা লেনে সম্রাটের বাড়ি। বাবা সমর পোদ্দার একসময় পারিবারিক যৌথ ব্যবসা করতেন। বাপঠাকুরদার বাড়িতেই মায়ের সঙ্গে থাকে সম্রাট। সে বাংলায় ৮৬, ইংরেজিতে ৯০, অঙ্কে ৯৭, ভৌত বিজ্ঞানে ৯০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৪, ইতিহাসে ৯২ ও ভূগোলে ৯৬ নম্বর পেয়েছে। বরাবরই পড়াশোনায় ভালো সে। নিজের স্কুলে এক থেকে দশের মধ্যেই থাকত।
সম্রাট বলল, কষ্টের টাকায় মা গৃহশিক্ষকদের কাছে আমার পড়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরাও স্বল্প বেতনে পড়িয়েছেন। স্কুলের শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেছেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আমি আগামী দিনে ডাক্তার হতে চাই। যদি সরকার বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন-তাহলে হয়তো আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে। সম্রাটের মা মালা পোদ্দার বলেন, ওর বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ভালো করে লেখাপড়া শেখানোর। ১১ বছর আগে ওর বাবা মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে ছেলের লেখাপড়ার জন্য খুব কষ্ট করে আসছি। আগে সেলাইয়ের কাজ বেশি করতাম। কিন্তু এখন আর চোখে ভালো দেখতে পাই না। তাই ছোট ছোট পিচবোর্ডের বাক্স তৈরি করি। আর কিছু সঞ্চিত টাকা রয়েছে। সেই টাকার সুদে কোনওরকমে চলে যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও অনেকটাই উপকারে লাগে। নবদ্বীপ বকুলতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সাহা বলেন, সম্রাটের স্বপ্নপূরণে আমরা সবসময় ওর পাশে থাকব। আর্থিক সমস্যার মধ্যেও সম্রাট মাধ্যমিকে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা অন্য ছাত্রদের কাছে দৃষ্টান্ত।