পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বিভিন্ন এলাকায় কখনও সকাল ৬টা আবার কখনও রাত্রি ২টোর সময়ে সারপ্রাইজ নাকা চেকিং চলছে। এক সময়ে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা হিসেবে জঙ্গল মহলের কেন্দ্রবিন্দু ঝাড়গ্রামের নাম জড়িয়ে পড়ায় প্রতিটি নির্বাচনে এই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকে নির্বাচন কমিশন। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ছিল ঝাড়গ্রাম। গত বিধানসভা নির্বাচনেও অশান্তির ঘটনা নেই বললেই চলে। ঝাড়গ্রামের গা ঘেঁষে রয়েছে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য। ঝাড়গ্রামের সঙ্গে ওড়িশার ২৭ কিলোমিটার সীমানা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ১২৮ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগে সন্ত্রস্ত পরিবেশে বেলপাহাড়ী ও লালগড়ের দুর্গম এলাকায় নির্বাচনের সময় দু’-একবার নির্বাচন কমিশন হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিল। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হলে জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। সেই শান্তি এখনও বিরাজ করছে। দীর্ঘ কয়েক বছর এলাকায় মাওবাদী অস্তিত্ব পুলিসের কাছে ধরা পড়েনি। তবুও বিষয়টিকে হালকা ভাবে দেখছে না পুলিস ও প্রশাসন। জেলা পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। বর্ডার এলাকায় নাকা চেকিং ছাড়াও অন্যান্য যে অপারেশনগুলো চলে তা চলছে। তবে জেলা পুলিসের মিটিংয়ে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে সারপ্রাইজ নাকা চেকিংয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে, এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবুও মাওবাদী উপদ্রুত জেলা হিসেবে ১৩০ থেকে ১৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আসা উচিত। এক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না তবুও আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছি না। সব কিছুর উপর নজর রাখা হচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করা হচ্ছে।