কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিজেপির ওই মণ্ডল সভাপতির স্ত্রী অনামিকা শিলিগুড়ির একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ২০১৬সালের প্যানেলে তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। চাকরি পাওয়ার সময়ই অনেক কানাঘুষো হয়েছিল। তারপর কয়েক বছর নিশ্চিন্তে স্কুলের চাকরি করার পর সোমবার গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়। সেইসঙ্গে বিজেপির ওই মণ্ডল সভাপতির স্ত্রীর চাকরিও খারিজ হয়ে যায়। নন্দকুমার ব্লকের আলাশুলি গ্রামে ওই বিজেপি নেতার বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে আলাশুলি গ্রামে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ পিকনিক করেন। তাঁদের বক্তব্য, মেধা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে অনেক অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল। এজন্য প্রকৃত মেধা সম্পন্ন অনেকে চাকরিপ্রার্থীকে খেসারত দিতে হয়েছে।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১ অঞ্চল কনভেনার দীপক দেবশর্মার স্ত্রী শ্রাবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চাকরি বাতিল হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগে আগেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে তাঁর চাকরি বাতিল হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জয়েন করার পর আস্ত প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরিহারা হলেন ওই বিজেপি নেতার স্ত্রীও। বিজেপির তমলুক-২ মণ্ডল কমিটির সহ সভাপতি দীপক অবশ্য মনের মধ্যে ওই দুঃখ পুষে রেখেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়ে ভোটপ্রচারে নেমেছেন।
ভোটের মুখে ২৫হাজার ৭৫৩জনের চাকরি বাতিলকে ইস্যু করছে বিজেপি। এর যাবতীয় দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে ইভিএমে ফায়দা তোলার চেষ্টার খামতি নেই। অথচ, সেই বিজেপি নেতাদের পরিবারের লোকজনেরও চাকরি বাতিল হয়েছে। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারপর ২০২০সালে ডিসেম্বর মাসে তাঁদের ‘রাজনৈতিক গুরু’ দলবদল করতেই নিজেরাও ধীরে ধীরে বিজেপিতে চলে যান। এখন পরিবারের সদস্যাদের চাকরি খোয়া যেতেই নিজেরা ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েছেন। একদিকে, স্ত্রীর চাকরি খোয়ানোয় মনের মধ্যে হতাশা। উল্টোদিকে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা নেতাদের সঙ্গে তাল মেলাতে হচ্ছে। অদ্ভুত বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন নির্মল খাঁড়া, দীপক দেবশর্মার মতো বিজেপি নেতারা।
ব্যবত্তারহাট পশ্চিম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শিদপ্রসাদ সামন্ত বলেন, বিজেপি নেতারাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ওদের পরিবারের সদস্যদের খোয়া যাওয়া চাকরির পুনরুদ্ধারের জন্য একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চেষ্টা করছেন। আর ওরা ভোটের মুখে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। নির্মল খাঁড়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে চাননি। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি আনন্দময় অধিকারী বলেন, এই সরকার চাকরি বিক্রি করেছে। সেটা ওরা স্বীকার করুক। তার সুবিধা কারা পেয়েছে সেটা বড় কথা নয়।