কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রবিবার মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাটের দত্তপুলিয়ায় বিরাট জনসভা করে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটারদের মন পেতে দলের কর্মীদের একাধিক দায়িত্বও অর্পণ করে গিয়েছেন তিনি। অভিষেকের বার্তার পরেই জনসংযোগের কাজে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে যুব তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ তিন সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে ভোটারদের মনের কথা বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুব তৃণমূল ও ছাত্র সংগঠনকে। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকাতেই বিশেষ ফর্ম সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন দলের ছাত্র-যুবরা।
কর্মসূচির একটি পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে—‘বাড়ি বাড়ি যুব যোদ্ধা’। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, ‘ওয়ার্ড বা অঞ্চলের কোনও গৃহস্থ বাড়িতে মোট কতজন ভোটার রয়েছেন, তাঁদের পেশা কী, বাড়িতে ছাত্রছাত্রী রয়েছে কি না, এরকমই ন’টি বিষয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ফর্মে নথিভুক্ত করে নিচ্ছেন আমাদের কর্মীরা।’ এরপর সেই পরিবারের সদস্যরা রাজ্য সরকারের ১৮টি জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে কোনটার সুবিধা পাচ্ছেন কিংবা কোন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত, সে সবেরও উল্লেখ থাকছে ফর্মে। জানা গিয়েছে, ভোটারদের কাছ থেকে যুব তৃণমূলের কর্মীরা জেনে নিচ্ছেন যে উন্নয়নের ভিত্তিতে ১০ নম্বরে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তাঁরা কত করে নম্বর দেবেন। এই সমীক্ষাতেই জেনে নেওয়া হচ্ছে, গত পাঁচ বছরে এলাকায় কী কী উন্নয়ন হয়েছে এবং হয়নি। পাশাপাশি, বাড়ির প্রবীণ ভোটারের কাছ থেকে যুব কর্মীরা উপদেশ নিচ্ছেন, আগামীদিনে সরকার নতুন কোন উদ্যোগ নিলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলেও প্রত্যেক দলকে কোয়ালিফায়িং ম্যাচ খেলতে হয় আগে। লোকসভা ভোটের আগে মানুষের দুয়ারে গিয়ে এই সমীক্ষা আমাদের কোয়ালিফাইং ম্যাচ। গ্রামে গঞ্জে মানুষ ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। তবে, কোথাও কোনও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থেকে থাকলেও তাঁরা সেটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফর্মে উল্লেখ করছেন।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, একদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত অর্থ এবং অন্যদিকে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের ইস্যু—ব্লকভিত্তিক সমীক্ষায় মানুষের মন অনেকটাই নিজেদের অনুকূলে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের। যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘১৩ মের আসল রিপোর্ট কার্ডে মানুষ তৃণমূলকে শূন্য দেবে। কারণ, উন্নয়নের নামে যেভাবে দুর্নীতি চলেছে, তাতে মানুষের সমীক্ষায় ওদের পাশ করার প্রশ্নই ওঠে না।’ • নিজস্ব চিত্র