কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জেলার নেতাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। জেলার পরিস্থিতি, নেতাদের দৌড়ঝাঁপ সমস্ত বিষয় নিয়ে জানতে চান। সেখানে কাজলের প্রসঙ্গ ওঠে। কাজল দলের নির্দেশমতো চলছেন বলে জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নানুর, কেতুগ্রামের বাইরে তিনি সভা, কর্মসূচি করছেন না। ভোটের মুখে দলের গুরুত্বপূর্ণ ওই নেতার একটি নির্দিষ্ট বৃত্তে থাকা, দলীয় ক্ষেত্রে ক্ষতি হচ্ছিল বলে অনেকে মনে করছিলেন। এদিন হাসন বিধানসভা এলাকায় এসে মুখ্যমন্ত্রী কাজলকে কোর কমিটিতে পুনরায় ফিরিয়ে নিলেন।
বিধায়ক আশিসবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজলকে কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। আমরা তাঁকে কোর কমিটিতে নিয়ে নিলাম। স্বাভাবিকভাবে একজন কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ল। এরপর প্রতিটি বৈঠকে কাজলকে ডাকা হবে। এপ্রসঙ্গে কাজল বলেন, আমি মা-মাটি-মানুষের সৈনিক। দল যে দায়িত্ব যখন দিয়েছে, তখন সেই দায়িত্ব পালন করেছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবার অভিভাবক। তিনি ধমকাবেন, বকবেন আবার ভালোবাসবেন। তিনি আবার কোর কমিটিতে থাকার জন্য বলেছেন। তাই আবার সেই দায়িত্ব সামলাব। দলের সিনিয়র নেতারা যা পরামর্শ দেবেন সেভাবে এগব।
এদিকে ভোটের মুখে কোর কমিটিতে কাজলের অন্তর্ভুক্তি, তৃণমূলের অন্দরে রাজনৈতিক সমীকরণে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলাস্তরের এক নেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ চূড়ান্ত। তিনি যা বলবেন সেভাবেই চলতে হবে। লোকসভা ভোটের মাঝে আবার সাংগঠনিক রদবদলের পিছনে অবশ্যই কোনও কারণ রয়েছে। মুরারই এলাকার ভোট ধরে রাখতে কাজলকে দরকার ছিল বলে কেউ কেউ দাবি তুলেছিলেন। সেই কারণও হতে পারে। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য সবাই মিলে জেলার দুই প্রার্থীকেই জেতানো।