সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে রামপুরহাট-১ ব্লকের কাষ্টগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। ১৩ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে বিজেপির ঝুলিতে আসে সাতটি আসন। তৃণমূল ও বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী পান তিনটি করে আসন। একইভাবে এই অঞ্চলের তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে দু’টি পায় বিজেপি, একটি তৃণমূল। জেলা পরিষদের আসনে ভোটের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০০ ভোটে পিছিয়ে পড়ে শাসক দল। এদিন সেই পঞ্চায়েতের প্রধান তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার ব্লক সভানেত্রী পিঙ্কি মণ্ডল ও জেলা সম্পাদিকা তথা পঞ্চায়েত সদস্য সুখী হেমব্রম তৃণমূলে যোগ দিলেন।
পিঙ্কিদেবী বলেন, আমি উন্নয়ন করতে চাই। কিন্তু বিজেপিতে থেকে সেটা পারছিলাম না। সবসময় বাধা আসছিল। সব কিছুতেই দলের লোকদের কাটমানি দিতে হবে। টেন্ডার করতে দিচ্ছে না। দলের লোকেরাই আমাকে মেরে বের করে দিচ্ছে, হেনস্তা করছে। দু’দিন আগেও একটি সোলার লাইট বসানো ঘিরে ওরা আমার স্বামীকে মারধর করেছে। থানায় অভিযোগের পাশাপাশি জেলা সভাপতিকে জানাই। কিন্তু তিনি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিতে হবে বলে জানান। দল চাপ দিয়ে কেস তুলে নিতে বাধ্য করেছে। দলের লোকেদের হাতে বারবার মহিলা প্রধান হেনস্তা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিজেপি দলে মহিলাদের কোনও সম্মান নেই। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম। সুখীদেবী বলেন, যেখানে মহিলা প্রধানকে এভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে, সেখানে আমিও থাকব না বলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।
আশিসবাবু বলেন, প্রধান ও ওই সদস্যা তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এদিন তাঁদের স্বাগত জানিয়ে দলে নেওয়া হল। ওই অঞ্চলে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি হল।
তৃণমূলের দাবি, এদিনের যোগদানের ফলে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপির সদস্য সংখ্যা সমান সমান হল। প্রধান যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে আসবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই দলবদল লোকসভা নির্বাচনের মুখে গেরুয়া শিবিরের কাছে বড়সড় ধাক্কা। সেই সঙ্গে বিজেপিতে মহিলাদের সম্মান নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন এই দুই সদস্যা। যার মধ্যে একজন আদিবাসী রয়েছেন।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, বিজেপিতে মহিলাদের সম্মান যথেষ্ট রয়েছে। বহু মহিলা কার্যকতা ময়দানে নেমে রাজনীতি করছেন। আসলে প্রধান দুর্নীতি করতে চাইছিলেন। কিন্তু দলের কার্যকর্তারা তা মেনে নিচ্ছিলেন না। তাই দুর্নীতি করতেই তিনি এক সদস্যাকে ভাঙিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তবে ওই সদস্যারা গেলেও কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতেই রয়েছেন। মানুষ তাঁদের জবাব দেবেন।