সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
দেখা যাচ্ছে, জেলায় গরমের পারদ ৪৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। তীব্র রোদ ও গরম বাতাসে রাস্তাঘাটে বেরলে হাত-পা পুড়ে যাওয়ার জোগাড়। সকাল ১০টা থেকেই রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যাচ্ছে। দাবদাহে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলেই। এই অবস্থায় সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কলেজ? জেলার প্রতিটি কলেজই একইভাবে খোলা রয়েছে। সেই সঙ্গে ক্লাসে হাজিরা দেওয়ার কড়া চাপ। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের ক্লাসে আসতে হচ্ছে। কিন্তু এই গরমে ক্লাসে বসেও টেকা দায় হয়ে যাচ্ছে পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক প্রত্যেকের। দু’এক জায়গায় পড়ুয়াদের অসুস্থতার কথাও শোনা যাচ্ছে। অনেকেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বিকল্প কিছু ভাবনার আর্জি জানাচ্ছেন। অনেকেই এখন অনলাইন ক্লাস নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত না জানানোয় ক্ষুব্ধ পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক সকলেই।
সোমবার সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে ক্লাস করতে এসে ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী আজমিরা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। গরমের কারণেই আজমিরা অসুস্থ হন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে কলেজের ঠান্ডা পানীয় জলের মাত্র দু’’টি মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে একটি অফিসের ভিতরে আর একটি মেয়েদের কমন রুমে। অরবিন্দ ভবনের মতো অত বড় বিল্ডিংয়ে কোনও জলের মেশিন নেই। দু’টি মেশিনই অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই অবস্থাতে পড়ুয়াদের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। কলেজের পড়ুয়া নাদিম হুসেন, তামান্না দাসরা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে সবাই অসুস্থ হয়ে যাব। ক্লাসে এই গরমে বসে মনঃসংযোগ করা যাচ্ছে না। তারপর আসা যাওয়ার এই সমস্যা। অনলাইন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার পরিচ্ছা বলেন, আমার কলেজে উপস্থিত স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা ভেবে এগিয়ে এসেছে দুবরাজপুরের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজ। তারা অফলাইনের পরিবর্তে এই ক’টা দিন অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, পড়ুয়ারা লিখিত আকারে আবেদন রেখেছিল। এরপর আমরা টির্চাস কাউন্সিল ও গর্ভনিং বডির সঙ্গে বৈঠক করি। মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিই অনলাইনে ক্লাস করানোর। তবে সকালের দিকে প্রতিদিন স্কলারশিপ সহ অন্যান্য কাজের জন্য কলেজ খোলা রয়েছে। অন্যান্য প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলোও হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মল্লারপুর টুরকু-হাঁসদা-লেপসা হেমব্রম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, গরমে সমস্যা তো হচ্ছেই। কিন্তু এই নিয়ে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। নানুরের খুজুটিপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ আতায়ুর রহমান বলেন, উপস্থিতির হার প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। কিন্তু যেমন স্বাভাবিক নিয়মে কলেজ চলে, তেমনই চলছে। তবে অত্যাধিক গরমে সকলেরই অসুবিধা হচ্ছে। এখন সবটাই নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর।