সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
অভিনেত্রী শতাব্দী রায় তাঁর খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বরাবরই রক্ষণশীল। তারপর ২০০৯ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ। পরপর ৩ বার বীরভূম কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছেন। জীবনের মোড় অনেকটা বদলে গেলেও খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে আসেননি। এবারের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে অসহনীয় গরমের মধ্যে হচ্ছে। প্রচারে কর্মী থেকে নেতা সকলেরই নাকানিচোবানি অবস্থা। আর এই অবস্থায় পেটের গণ্ডগোল স্বাভাবিক বিষয়। তাই সারাদিনের খাদ্যতালিকা নিয়ে প্রার্থী থেকে দলীয় কর্মী সকলেই চিন্তায় থাকছেন। শতাব্দী কিন্তু ঠিক উল্টো। ভোটের ক’টাদিন তিনি খাবার নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবতে রাজি নন। যেখানে প্রচারে যাচ্ছেন সেখানে কর্মীরা যা রান্না করে রাখছেন, তাই খাচ্ছেন। তাতে তেল, মশলা বেশি থাকলেও কুছ পরোয়া নেই। মাছের ঝোলই হোক কিংবা মাংস, খেয়ে নিচ্ছেন লক্ষ্মী মেয়ের মতো। তেল বেশি থাকলেও নাক শিঁটকাচ্ছেন না। আগের নির্বাচনগুলিতে প্রচারের সময় ডাবের জল খেলেও এবার তাও তিনি আবশ্যিক তালিকায় রাখেননি। কেউ ডাব এনে দিলে তবেই খাচ্ছেন! প্রচারের ফাঁকে বারবার ঠান্ডা জলই খাচ্ছেন। কথা প্রসঙ্গে বললেন, ওসব এখন ভাবছি না। কর্মীরা যা খাচ্ছেন, তাই খেয়ে আবার প্রচারে যাচ্ছি। এই ক’দিন তো সারাদিনই প্রায় বাইরে। তীব্র গরম পড়লেও আলাদাভাবে কিছু প্ল্যান নিচ্ছি না। ওসব পরে হবে। আর এখন যদি খাওয়া দাওয়া নিয়ে ভাবতে যাই তো মূল বিষয়ে ফোকাস করতে পারব না। সবাইকে বেশি করে জল খেতে বলছি। গরমে যেন সকলে নিজেদের শরীরের দিকে খেয়াল রাখেন।
অন্যদিকে, অন্যান্য প্রার্থীরাও একইভাবে প্রচারের ফাঁকে সুযোগ বুঝে খাওয়া দাওয়া সারছেন। বোলপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান সকাল থেকেই বেরিয়ে পড়ছেন। সকালে কর্মীদের সঙ্গে মুড়ি, তরকারি খাচ্ছেন। তারপর দুপুরে সকলে যা খাচ্ছেন, তাই খাচ্ছেন। প্রার্থী বলেন, আমাদের দলে নেতা ও কর্মীদের মধ্যে আলাদা কিছু নেই। যা সবাই খাচ্ছেন, আমিও তাই খাচ্ছি। এবার গ্রামে গেলে বাড়ির মা, বোনেরা শরবত করে এনে দিচ্ছেন। সেটাই খাচ্ছি। বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদেরও সাধারণভাবে দিন চলছে। তিনি তো মুড়ি, চপ ঠোঙায় করে খেতে খেতেই প্রচার সারছেন। তাঁর দাবি, সকলস্তরের মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ আসছে এই ফাঁকে। একাত্ম হওয়া তো বটেই।