সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের পাঁচ-ছ’টি শোভাযাত্রায় তারা অংশগ্রহণ করবে। দলের জনপ্রতিনিধিরাও তাতে যোগ দেবেন। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক তৃণমূল নেতা খোকন দাস বলেন, আমাদের ছেলেরাই শোভাযাত্রা করে। আমি নিজে পাঁচ-ছ’টি র্যালিতে অংশগ্রহণ করব। দলের আর এক নেতা বলেন, বিজেপি যাতে কোনও র্যালি হাইজ্যাক করতে না পারে সেকারণে আগে থেকে কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মন্দির তৈরি করতে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। তবে কোথাও বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে দল জড়াবে না। তা নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।
তবে আধিপত্য দেখানোর ক্ষেত্রে বিজেপিও পিছিয়ে থাকছে না। কার্জন গেটে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিজেপি নেতাদের উদ্যোগেও একাধিক র্যালি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের নেতা সুধীররঞ্জন সাউ বলেন, আমরা প্রতিবার লোকো থেকে মিছিল বের করি। এবারও হবে। এছাড়া শহরের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও শোভাযাত্রা বের হবে।
কয়েকদিন আগে থেকেই বিজেপি প্রার্থী রামলালার ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার বিলি শুরু করেছেন। তিনি বলেন, অনেকে রামমন্দির দর্শন করতে যেতে পারছেন না। তাঁদেরকে তা দর্শন করানো হচ্ছে। সবাই প্রণাম করে ক্যালেন্ডার নিচ্ছেন। এবার রামনবমীও ধুমধাম করে সব জায়গাতেই হবে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, রামনবমীকে সামনে রেখে বিজেপি হিন্দুত্বের পালে হাওয়া দিতে চাইছে। এই ইস্যুতে ইভিএমে সাফল্য পাওয়ায় তাদের লক্ষ্য। বর্ধমান শহর ছাড়াও খণ্ডঘোষ, কালনা, কাটোয়া সহ সব জায়গাতেই বিজেপি নেতারা রামনবমীর শেভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে চাইছেন। তৃণমূল টক্কর দিয়ে বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়ার কৌশল নিয়েছে। জেলার সমস্ত প্রান্তেই শোভাযাত্রায় তাদের জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, নিয়ম মেনেই সবাইকে শোভাযাত্রা করতে হবে। আশা করা যায় সমস্ত কমিটি প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।
অনেক আগে থেকেই বিজেপির ‘আরাধ্য’ দেবতা হয়ে উঠেছে রাম। ভোটের ময়দানেও সেই দেবতার নাম তাঁদের অন্যতম ভরসা। কিন্তু রাম কারও একার নয়। এই বার্তা দিতে কোমর বাঁধছে শাসকদলও।