কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর গোটা রাজ্যের সঙ্গে আরামবাগ মহকুমাতেও সিপিএম ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। অসংখ্য বাম কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হন। নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে অনেক সিপিএম কর্মী ও সমর্থক সেই সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর যাঁরা চক্ষুলজ্জার খাতিরে সরাসরি বিজেপিতে যেতে পারেননি, তাঁরা তৃণমূলকে ঠেকাতে পরবর্তী নির্বাচনে বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে আরামবাগ কেন্দ্রে এর প্রভাব দেখা যায়। আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার মাত্র কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে জেতেন। সিপিএমের ভোট পেয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে ঘরের ভোট ঘরে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিপিএম। আরামবাগ লোকসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব মৈত্রকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার সারছেন নেতাকর্মীরা। বিপ্লববাবু বলেন, বিজেপি সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ভোট অনেক কেটে নিয়েছিল। ওরা বলেছিল, ভোটে জিতলে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে ঢুকবে, বছরে ২ কোটি চাকরি হবে, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যেকের মাটি বাড়ি পাকা হবে। আমরা দেখছি চাকরি হয়নি, অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। আরামবাগ লোকসভার অন্তর্গত গ্রামগুলিতে এখনও মাটির বাড়ি রয়েছে। যাঁরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে বিজেপিকে সাপোর্ট করেছিলেন, তারাও প্রত্যক্ষ করছেন বিজেপি নেতাদের অত্যাচার। এখন সকলেই বুঝতে শিখেছেন। আমরা ফের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছি। দলছুট বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থক এখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা তাই আরামবাগ লোকসভা অন্তর্গত প্রতিটি বুথে ছোট ছোট মিটিং, মিছিল ও পথসভার মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এবার লোকসভা ভোটে আমরা যে আমাদের হারানো ভোট ব্যাঙ্ক ফিরে পাব তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।