কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে প্রতিটি স্কুলে মিড ডে মিলে এলাহী আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিডিওদের মাধ্যমে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সেকথা জানিয়ে দেন। নানা অসুবিধা সত্ত্বেও জেলার সমস্ত স্কুলই এই আয়োজনে এগিয়ে আসে। পড়ুয়াদের একদিন ‘ভালো’ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে স্কুলগুলি। যেমন, সিউড়ির আড্ডা প্রাথমিক স্কুলের দিকে তাকালে দেখা যায়, এদিন স্কুলে একেবারে উৎসবের আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল। শুরুতেই পড়ুয়াদের তরমুজ দেওয়া হয়। পরে মিড ডে মিলে তাদের পাতে পড়ে ভাত, ডাল, পোস্ত, ডিম, চাটনি, মিষ্টি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরিন্দম বসু বলেন, রাজ্য দিবস ও সেই সঙ্গে নববর্ষ উপলক্ষ্যে স্কুলে এলাহী আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৭ জন পড়ুয়া এদিন উপস্থিত ছিল। তারা প্রত্যেকেই খুব খুশি।
অন্যদিকে, এদিন সিউড়ির কড়িধ্যা যদুরায় হাইস্কুলে আবার ‘আরও ভালো’ আয়োজন। মেনুতে স্থান পায় মাংস, মিষ্টি, দই, পায়েস। পড়ুয়ারা আনন্দের সঙ্গে মিড ডে মিল খায়। স্কুলের সহকারী শিক্ষক পার্থসারথী ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো আমরা এই ধরনের মেনু করেছিলাম। এতে পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। স্কুলগুলির এই আয়োজনে শিক্ষামহলেও বেশ আলোড়ন পড়েছে। অনেকেই বলছেন, স্কুলে আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা গেলে তাতে পড়ুয়াদের উৎসাহ কয়েকগুণ বাড়বে।
অন্যদিকে, রাজনগরে খাসবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন একেবারে অভিনব এক প্রকল্প শুরু করা হয়। জানা গিয়েছে, ‘ওয়াটার বেল’ নামে এই কর্মসূচিতে প্রতি একঘণ্টা অন্তর ওয়াটার বেল বাজবে। বেল বাজলেই প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে জল পান করবে। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুদরত আলি খান বলেন, আমাদের এই কর্মসচির মূল উদ্দেশ্য হল গ্রীষ্মকালে বাচ্চাদের শরীরে যেন কোনওভাবে জলের ঘাটতি না হয়। এই সুঅভ্যাসের ফলে বাচ্চারা যেমন জলপান করতে শিখবে, তেমনই স্কুলের পর বাড়িতেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর তারা জলপান করবে। তাতে তাদের শরীর সুস্থ থাকবে। তাই এমন ভাবনা। আমরা নিজেরাও পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে ওয়াটার বেল অনুযায়ী জল পান করব। নিজস্ব চিত্র