সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মেদিনীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল। তিনি যেখানে প্রচারে যাচ্ছেন, শুধুমাত্র সেখানেই তাঁকে ঘিরে রয়েছে কিছু সংখ্যক কর্মী। তার বাইরে আর গ্রামে গ্রামে সেইভাবে প্রচারে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে কম ভোকাল টনিক দেননি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। হাতজড়ো করে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের প্রচারে নামার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগেই জেলায় এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকে তিনি সমস্ত পুরোনো কর্মীদের নামাতে মণ্ডল সভাপতিদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আগামীদিনে এসে চা খাবেন বলেও জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিষ্ক্রিয়রা নিষ্ক্রিয়ই থেকে গিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক জেলা সহ-সভাপতি বলেন, ‘পুরোনো নেতাদের উজ্জীবিত করার সবধরনের চেষ্টাই চলেছে। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী না করায় তাঁর গোষ্ঠীর অনেক নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, আবার অনেক নেতাকে দলে তরফেই নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে।’ যেমন, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের ইনচার্জসুনীপ সাউ ও জয়েন্ট ইনচার্জ লক্ষ্মীকান্ত সাউকে সম্প্রতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পদ থেকে। তাঁরা দিলীপ ঘনিষ্ট ছিলেন বলেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দলেরই একাংশের। বদলে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা আবার বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নেতাদের এই রেষারেষির ফল ভুগতে হবে বিজেপিকেই। এদিকে, এইসবের জেরে বহু বিজেপি নেতাই পার্টি অফিস মুখো হননি দীর্ঘদিন। ফলে ভোটের আগে সেই চেনা ব্যস্ততা নেই জেলা পার্টি অফিসে। পার্টি অফিসের কার্যত শুনশান চেহারা। পার্টি অফিসে দেখতে পাওয়া যায় না জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতকেও।কর্মীরা কোনও অভিযোগ নিয়ে এলে ফিরে যেতে হয়। তবে তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য, জেলা সভাপতির বাড়ি এগরায়। ফলে তাঁর পক্ষে নিয়মিত আসা সম্ভব না। দলেরই একাংশের প্রশ্ন, সময় যদি নাই দিতে পারবেন, তাহলে তাঁকে জেলা সভাপতি করা হল কেন? জেলা সভাপতি পাল্টা বলেন, ‘যাঁরা বলছেন তাঁরা সংগঠনটাই বোঝেন না। নির্বাচনের সময় জেলা পার্টি অফিসে বসে থাকা কি জেলা সভাপতির কাজ?’ তাঁর সংযোজন, ‘আসলে যাঁরা এধরনের কথা বলছেন, তাঁরা তৃণমূলেরই এজেন্ট।’ এদিকে, সংগঠনের যে হালই থাকুক না কেন, ২০২৬ সালের বিধানসভায় কে কোন কেন্দ্র থেকে লড়বেন, সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা দলেরই এক জেলা নেতা বলেন, ‘গত বিধানসভায় টিকিট পাইনি। এবারে তো টিকিট নিয়েই ছাড়ব।’ নিজস্ব চিত্র