উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলা লাগোয়া জলঙ্গির একটি প্রত্যন্ত গ্রামে পাঁচ বছর আগে প্রায় দু’বিঘা জমির উপর একটি আস্তানা গড়া হয়। বাংলাদেশ থেকে এসে এক ধর্মীয় নেতা সেটা তৈরি করে। পরে অবশ্য এদেশের আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরি করে নিয়েছে। চারদিক ঘেরা এই আস্তানায় প্রবেশ নিয়ে রয়েছে কড়াকড়ি। তবে, সীমান্ত পেরিয়ে অনেকেই এখানে হামেশাই আসে। গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে এই আস্তানা। এই ধর্মীয় নেতাও কেরলে যায়। এছাড়া সামশেরগঞ্জ, লালগোলা, সূতি এবং বীরভূমের লোহাপুরের এরকমই বেশকিছু প্রতিষ্ঠান গোয়েন্দাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অনেক আগে থেকেই এই সব প্রতিষ্ঠান তাদের স্ক্যানারে রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডোমকলের আল মামুনের উপর বিভিন্ন জায়গায় এরকমই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। একসময় সে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। কিন্তু দু’বছর ধরে সেখানে সে যায়নি। গ্রামে বসেই সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। বাড়ির কাছে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলে। সেখানে বাইরের লোকের আনাগোনা ছিল। গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করার নামে সে আট থেকে ১০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বাকি টাকা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তাছাড়া সে দু’বছর ধরে বাড়িতেই বসেছিল। তেমন কোনও কাজ করত না। তাই তার সংসার চালানোর খরচ কোথা থেকে আসত সেটাও তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, মামুন অত্যন্ত ধীরস্থির ছেলে। প্রয়োজনের বাইরে কারও সঙ্গে তেমন মিশত না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকায় অনেকেই তাকে সমীহ করে চলত। তাই কীভাবে ও সংসার চালাত বা কোথা থেকে টাকা আসত তা নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামাত না। মামুনের সঙ্গে কেরলে থাকত তার শ্যালক। তিনি অবশ্য বলেন, কেরলের দীর্ঘদিন কাজ করায় ওর হাতে টাকা ছিল। তাতেই সংসার চলত। আর মাঝেমধ্যে এলাকাতেই রাজমিস্ত্রি কাজ করত। পরিবার ছেড়ে আর কেরলে থাকতে চাইছিল না। ওর এক ছেলে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এক কন্যাসন্তান হয়েছে। তাই বাড়িতেই বেশি থাকত। যদিও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সংগঠন বিস্তারের জন্য মামুনের উপরেই বেশি ভরসা করত মুর্শিদ। কিছুদিন আগে তার বাড়িতেই বৈঠক হয়।
এই বিল দেখিয়েই টাকা তুলত মামুন। -নিজস্ব চিত্র