উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
র্যা পিড টেস্টের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যা আগের তুলনায় এবার অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ, আরজি কর হাসপাতালে নমুনা পাঠানোর কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তমলুক জেলা হাসপাতালে করোনা টেস্টের ল্যাব চালু হওয়ায় কোটা ছাপিয়ে অনেক বেশি টেস্ট হবে। তাছাড়া দ্রুত রিপোর্টও মিলবে। এর ফলে রিপোর্টের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। আগে রিপোর্ট আসতে দু’-তিনদিন সময় লেগে যেত। ততক্ষণ আইসোলেশন ওয়ার্ডেই রোগীকে থাকতে হতো। ওই ওয়ার্ডে থাকাকালীন সঙ্কটাপন্ন রোগীরা জীবনদায়ী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন। টেস্ট রিপোর্ট দ্রুত হলে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পজিটিভ হলে কোভিড হাসপাতালের রেফার করা হবে। না হলে সাধারণ বেডে যাবেন রোগী।
মহামারীর বিরুদ্ধে জেলায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন। তাঁদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের(স্বাস্থ্য শাখা) উদ্যোগে মঙ্গলবার পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ১০০জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে গ্রাউন্ড স্টাফ, প্রত্যেককে এই সম্মান প্রদর্শন করা হয়। কোভিড হাসপাতালের নোডাল অফিসার শচীন্দ্রনাথ রজক, টেকনিক্যাল অফিসার দেবোপম হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের জেলা সম্পাদক নীলকান্ত নায়েক বলেন, ওই কোভিড হাসপাতাল থেকে প্রায় ১৩০০জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এটা আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার।
গত ৭সেপ্টেম্বর কাঁথির আরসিএন সঞ্জীবন হাসপাতালে নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ তুলে একদল করোনা রোগী বাইরে বেরিয়ে এসে ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তারপর থেকে ওই হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। গোটা ঘটনায় নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা জেলাশাসকের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। সবুজসঙ্কেত না আসা পর্যন্ত আপাতত ওই হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি নয় বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের কর্ণধার নন্দদুলাল দাস বলেন, আমদের হাসপাতালে খাবারের মান আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো। কিন্তু, নতুন রোগী পাঠানো বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাঁশকুড়া এবং চণ্ডীপুরের কোভিড হাসপাতালের সাধারণ বর্জ্যহ সাফাই এই মুহূর্তে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মঙ্গলবার তমলুকের এসডিও কৌশিকব্রত দে নিজের অফিসে তমলুক ও পাঁশকুড়া পুরসভা, পাঁশকুড়া ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক প্রশাসন এবং দুই কোভিড হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি মিটিং করেন। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।