বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
গত ৩০সেপ্টেম্বর মায়াচর থেকে বাড় অমৃতবেড়িয়া ঘাটে রওনা দেওয়ার মুহূর্তে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। বেশ কয়েকজন জলে ভেসে গিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’জন মারা যান। মাঝি এবং তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেআইনিভাবে ওই ঘাট চালানো হয়েছিল বলে সেচদপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দুবাবু অভিযোগ করেন। তারপর থেকেই ওই ফেরিঘাট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। মায়াচরকে হাওড়া জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। যদিও মায়াচরের অনেকেই হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চান না। বরং ফেরি সার্ভিস দ্রুত চালুর দাবি তোলেন মায়াচরবাসী।
মায়াচরের বাসিন্দা শঙ্করপ্রসাদ মাইতি বলেন, এখানকার হাইস্কুল, মনসা মন্দির, চৌরাস্তা, আইসিডিএস সেন্টার গুগল ম্যাপে ট্যাগিং করা আছে। এখানকার পিনকোড ৭২১৬৪৮। গুগলে সেটাই দেখাত। কিন্তু, গত তিন-চারদিন গুগলে সার্চে মায়াচরের পিন কোড নম্বর দেখাচ্ছে ৭১১৩০১। এই পিনকোড নম্বরটি হাওড়ার বাণেশ্বরপুর, রাধাপুর এলাকার। সেটাই এখন মায়াচরের পিনকোড নম্বর দেখাচ্ছে। এটা নিয়ে মানুষজনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সাত-আটদিন দু’জন হাওড়া থেকে এসে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলছে। চারটি বুথে চারটি ক্যাম্প করে ছবি তোলা হচ্ছে। এনিয়েও মানুষজনের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মায়াচর এলাকার বাসিন্দাদের গাদিয়াড়া, গেঁওখালি হয়ে ১৮কিলোমিটার ঘুরপথে মহিষাদলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। তাছাড়া বাড় অমৃতবেড়িয়ার এলাকার মানুষজনের জমি রয়েছে মায়াচরে। জমির চাষাবাস করতে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে যাতায়াত করতেও অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত ফেরি সার্ভিস চালু হোক, চাইছেন মায়াচরবাসী। হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, মায়াচরে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছোটখাটো অভিযোগ থাকলে সেখানে নেওয়া হবে।