বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাসগুপ্ত ও করিমপুর ১ -র বিডিও অনুপম চক্রবর্তী মেলাকে সফল করার জন্য ঘনঘন বৈঠক করছেন। ঝাল থেকে মিষ্টি সব রকমের লোভনীয় খাবারই পাওয়া যাবে করিমপুরের খাদ্য মেলায়। মটন কষা বা মটন বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস কিংবা চিলি ফিস, লিকার চা থেকে ফিস ফ্রাই, রসমালাই বা দই অথবা দক্ষিণ ভারতীয় ইডলি, ধোসা, সাম্বার ও চাটনি সব কিছুরই আয়োজন থাকছে। খাদ্যরসিক মানুষদের কথা মাথায় রেখেই এমন মেলার আয়োজন করছে তেহট্ট মহকুমা প্রশাসন। প্রত্যেক দিন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত এই মেলা চলবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার মূল উদ্দেশ্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি বিভিন্ন স্বাদের খাবার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এছাড়া, সাধারণ গৃহিণীদের হাতেও নতুন স্বাদের খাবারের উপকরণ ও প্রণালী তুলে দেওয়া হবে। এই প্রথম এখানে পাঁচদিনের খাদ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় মোট ৪০টি খাবারের স্টল থাকবে। ২৫টি স্টলে বিভিন্ন রকমের খাবার নিয়ে হাজির হবেন মহকুমার ২৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এছাড়াও ন’টি স্টলে পাওয়া যাবে জেলার নামকরা নানা রকম খাবার। তারমধ্যে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সরপুরিয়া কিংবা সরভাজা যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে নবদ্বীপের প্রিয় দই, ধুবুলিয়ার ক্ষীরের মিষ্টি। তেহট্ট ২ ব্লকের ‘বিএসপিএস’ গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি মটন বিরিয়ানি ও মটন কষার পাশাপাশি ‘আলিঙ্গন’ এর বানানো নানপুরি ও চানা মশলা জিভে জল এনে দেবে। এছাড়াও ‘রাত্রি’র তৈরি ফ্রায়েড রাইস কিংবা চিলি ফিস থাকবে। করিমপুর ১ ব্লকের ‘নীলকণ্ঠ’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা হাজির থাকবেন দক্ষিণের খাবার নিয়ে। ইডলি ধোসা, সাম্বারের সঙ্গে চাটনি ও নোনতা পিঠে মিলবে ওই স্টলে। চাওমিন, এগরোলের সঙ্গে ঘুগনি, পেঁয়াজি, চপ, বেগুনি, পাঁপড় ছাড়াও শিঙাড়া, মিষ্টি গজার মতো রকমারি খাবার মিলবে। জিভে জল আনা সবরকম খাবারের ব্যবস্থা থাকবে এখানে। মেলা চলাকালীন পুরুষ ও মহিলাদের রন্ধন প্রতিযোগিতা হবে। মহিলারা পোলাও আর পুরুষেরা খাসির মাংসের নানা পদ তৈরি করতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে প্রতিযোগীদের নাম নেওয়া চলছে। মূল পর্বের জন্য বাছাই প্রক্রিয়া হবে।
তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের খাবারের স্বাদ মানুষ যাতে পায় তারজন্য এই মেলার আয়োজন। সব মিলিয়ে তালিকায় রয়েছে প্রায় ১০০ রকমের খাবার। ফলে খাদ্য প্রিয় মানুষের মন তো বটেই, পেটও ভরবে। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আর থাকবে রন্ধন প্রতিযোগিতা। লালন মঞ্চে প্রতিদিন এলাকার বিখ্যাত শিল্পীরা বাউল পরিবেশন করবেন। নামকরা নৃত্য শিল্পী সমন্বয়ে নৃত্যানুষ্ঠান হবে। আমিষ, নিরামিষ, সাবেক, আধুনিক রান্নায় এলাকার ভোজন রসিকদের জিভে জল আনবে। প্রথম আয়োজিত এই খাদ্যমেলা চরমভাবে সফল হবে বলেই আশা করা যায়।