বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
কালনার ধাত্রীগ্রামে এক ছাতার তলায় তাঁতশিল্পীদের বিপণন কেন্দ্র ও তাঁতের সরঞ্জাম তৈরির লক্ষ্যে গড়ে ওঠে তাঁত কাপড়ের হাট। শুরুতে তেমনভাবে ক্রেতা হচ্ছিল না। যদিও ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে। পরবর্তীকালে এই হাটে ভিড় আরও বাড়বে বলে তাঁতশিল্পীদের আশা।
বুধবার ও শনিবার সপ্তাহে দু’দিন ভোর ৫টা নাগাদ ধাত্রীগ্রামে তাঁতের হাট বসে। এদিন সকাল ৬টায় মন্ত্রী ওই হাটে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কালনা-কাটোয়া হ্যান্ডলুম আধিকারিক পলাশ পাল। তাঁতি ও ক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আরও কী করলে হাটের শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে তা নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন।
হাটে আসা তাঁতশিল্পী কালীপদ দাস বসাক, গৌড় বসাক, পরিমল বসাক বলেন, ধীরে ধীরে এখানে বেচাকেনা বাড়বে। বড় বড় কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছে হাট সম্পর্কে বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। হাট থেকে অল্প দূরত্বে রয়েছে ধাত্রীগ্রাম স্টেশন। পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে এসটিকেকে রোড। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সাফল্য আসতে বেশি দেরি হবে না। এমনটাই মত তাঁতশিল্পীদের।
স্বপনবাবু বলেন, তাঁত সমৃদ্ধ ধাত্রীগ্রাম সহ কালনা-১ ব্লকে প্রচুর তাঁতশিল্পী বসবাস করেন। মহকুমায় প্রায় ৭৫ হাজার তাঁতশিল্পী রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় কোনও তাঁতের হাট ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় ধাত্রীগ্রামে আমরা আধুনিক সুবিধাযুক্ত তাঁতের হাট করতে পেরেছি। ১২৫ জন তাঁতশিল্পী সরাসরি হাটে বসে তাঁদের উৎপন্ন শাড়ি বিক্রি করতে পারছেন। আরও তাঁতশিল্পী আবেদন করেছেন। প্রয়োজনে তাঁদের জন্য বিকল্প ভাবনাচিন্তা করা হবে। পরীক্ষা মিটে গেলে কালনা সহ আশেপাশে প্রচার করা হবে।