বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
এব্যাপারে বিধায়ক বলেন, কোনওভাবেই এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাতের অন্ধকারে বস্তাবন্দি করে রোগগ্রস্ত মরা মুরগি যারা চাষের জমি কিংবা জলাশয় ফেলে যাচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের বলেছি, দ্রুত ওই সকল পচা গলা মুরগি যাতে মাটি চাপা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আরামবাগ ব্লকের বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁচগড়িয়া ও তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের পুইন এলাকায় প্রায় ৩০টি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। বর্তমানে ভাইরাসের কারণে ফার্মগুলিতে মুরগি চাষ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু, ফার্মগুলিতে থাকা মরা মুরগি এলাকার একাধিক জলাশয় ও চাষের জমির পাশে রাতের অন্ধকারে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ফেলে রেখে যাচ্ছিল। যার জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পচাগলা ওই মুরগি খেতে শিয়াল, কুকুরের উপদ্রবে ওই এলাকাগুলি একপ্রকার ভাগারের চেহারা নিয়েছে। বস্তাবন্দি অবস্থায় ফেলে রাখা মরা মুরগির কারণে দুর্গন্ধে চাষের জমিতে যেতে পারছেন না কৃষকরা। এই সংবাদ প্রকাশিত হতেই এদিন এলাকায় আসেন বিধায়ক। বিধায়কের নির্দেশের পরই মরা মুরগিগুলিকে মাটি চাপা দিতে তৎপর হয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা।
এদিকে, ভাইরাসের কারণে মুরগি মারা যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন ফার্মের মালিকরাও। এনিয়ে বাতানল এলাকার এক ফার্ম মালিক বলেন, সরকারিভাবে আমাদের মুরগির চাষ করার বিষয় নিয়ে কোনওরকম সচেতন করা হয়নি। যে কারণে অন্যান্য সময়ের মতো আমরা মুরগি চাষ শুরু করেছিলাম। তিন চার দিনের মুরগিগুলি ফার্মে নিয়ে আসা হতো। এরপর প্রায় ৪০-৪২দিনের মাথায় সেগুলিকে পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হতো। কিন্তু, এবার বাজারে বিক্রির আগেই একে একে সব মুরগি মারা গিয়েছে। একসঙ্গে এতগুলি মুরগি কোনও রোগ ছাড়া মরে যাওয়া অসম্ভব। তবে আমরা আমাদের মরা মুরগিগুলি বসতিহীন এলাকায় নিজেদের জমিতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে এসেছি। এই এলাকায় রাতের অন্ধকারে অন্যান্য জায়গা থেকে মরা মুরগি বস্তাবন্দি করে ফেলা হয়। কিন্তু, স্থানীয় এলাকায় যেহেতু আমাদের পোলট্রি ফার্ম রয়েছে তাই অনেকেই ভাবছেন আমরা একাজ করেছি।
এবিষয়ে বাতানলের স্থানীয় বাসিন্দা তপন মাণ্ডি বলেন, যেভাবে রাতে মরা মুরগি এলাকায় ফেলে রাখা হচ্ছে। তাতে দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারছি না। পশু পাখিতে আবার সেগুলি চাষের জমিতে নিয়ে ফেলছে। যদিও এদিন বিধায়ক নিজে এলাকায় এসে সবটা দেখে গিয়েছেন। আশা করি, এবার একটা সুরাহা হবে।