ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বুধবার খোঁড়াখুঁড়ির সময় আচমকা মাটির নীচে পুরসভার পাইপ লাইন ফেটে একেবারে জল থইথই করে গোটা হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের সামনে রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় চূড়ান্ত নাকাল হন মানুষজন। দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালে আসা মানুষজনও। জল জমে যাওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে হয়। শুক্রবার তমলুক শহর নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে হাসপাতাল মোড়ে ডাম্পার ঘেরাও করে অবরোধ করা হয়। নির্মাণ কাজের কারণে গোটা এলাকা ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছিল। প্রতিবাদে কমিটির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এরপর বুধবার পাইপ ফেটে গোটা চত্বর জলমগ্ন হওয়ার পর এদিন কমিটির পক্ষ থেকে ডাম্পার আটক করে বিক্ষোভ ও অবরোধ করা হয়।
এর আগে নির্মাণকাজ চলাকালীন বিদ্যুতের কেবল লাইন কেটে যাওয়ায় গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছিল। ডিসেম্বর মাসে ওই ঘটনায় চূড়ান্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর এবার জলের পাইপ লাইন ফেটে শীতকালেও হাসপাতালের ছবিটা একেবারে ভরা বর্ষার মতো দেখতে লাগছে। এই অবস্থায় শুক্রবার পাম্প বসিয়ে জল সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। জল আপাতত সরানো হয়েছে। কিন্তু, বারবার ইমার্জেন্সি পরিষেবায় এই ব্যাঘাত আটকানো যাবে কীভাবে সেটাই এখন প্রত্যেকের কাছে প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, নির্মাণকাজে নিযুক্ত সংস্থাকে পুরসভা, পূর্ত, পিএইচই, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছিল। কোথায় কী ধরনের লাইন আছে, সেটা আগেভাগে জেনে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেবল লাইন, জলের পাইপ ইত্যাদি সরানোর জন্য ওরা অতিরিক্ত চার্জ দাবি করেছিল। সেটা হাসপাতাল তৈরির বাজেট থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। তারপরও এ ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। বিদ্যুৎ, জল এ ধরনের জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হলে বিরাট সমস্যা। নির্মাণকারী সংস্থাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। কাজের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।