বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিন সমাবেশে মানিকবাবু বলেন, লোকসভা ভোটের সময় আমি এই জেলায় কয়েকবার এসেছি। তখন থেকেই দেখছি, কৌশলে একটা প্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে রাজ্যে তৃণমূলকে হটাতে হবে। বিকল্প দল নাকি বিজেপি। আমি বলছি, খাল কেটে কুমির আনবেন? গরম তেলের কড়াইয়ে থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দেবেন? ওই ভুল চিন্তায় মশগুল হবেন না। বিজেপি দেশের সর্বনাশ করছে। কর্পোরেট গ্রুপ ছাড়া বাকি সমস্ত গোষ্ঠীর বিপদ ডেকে এনেছে বিজেপি। টিএমসিকে অবশ্যই হটাতে হবে। কিন্তু, বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। বিকল্প শুধুমাত্র বামপন্থীরাই। বিকল্প হল লালঝান্ডা।
মানিকবাবু আরও বলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে বিরাট সংখ্যক মানুষকে ভোটদান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এখানে দুঃশাসন চালাচ্ছে। ওরা পরিবর্তনের স্লোগান দিয়ে ২০১১সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল। ভালো করা দূরের কথা, বামপন্থীরা যেসব কাজ করেছিল সেসব ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর বামপন্থীরা মানুষকে যে অধিকার দিয়েছিল, তৃণমূল সরকার তা খর্ব করে দিচ্ছে। এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শ’য়ে শ’য়ে সিপিএম পার্টি অফিস বন্ধ ছিল। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির সঙ্গে কথা বলে জানলাম পার্টি কর্মীরা নিরন্তর চেষ্টা করে সেইসব বন্ধ থাকা পার্টি অফিস খুলে দিয়েছেন। এটা শুনে খুব ভালো লাগছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একহাত নিয়ে মানিক সরকার বলেন, রেল থেকে অস্ত্রশস্ত্র তৈরির কারখানা সবকিছু পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি ক্ষমতায় এসে জনবিরোধী, কর্মনাশা অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে চলছে।