বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রবিবার রাতে সূতি থানার পুলিস সাজুরমোড় থেকে তিন ক্যারিয়ারকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছে থেকে ২ লক্ষ ১০হাজার টাকার জালনোট এবং ৩১০গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। তারা জালনোট ব্যাগে নিয়ে বাসে কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছিল। সূতি থানার পুলিস খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। তার বয়স ১৫বছর। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে কয়েক মাস ধরে পাচারকারীরা মহিলা এবং নাবালকদের এই কারবারে নামিয়েছে। তাদের রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়েই নামানো হয়েছে। টাকা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে পারলে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। সেটা কখনও দিনে এক হাজার আবার কখনও দু’হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে যার কাছে জালনোট পৌঁছতে হবে তার নাম তারা কখনোই জানতে পারে না। সাংকেতিক চিহ্ন দেখার পরেই টাকা হাতবদল করে দেওয়া হয়। এর আগেও নাবালক এবং মহিলা গ্রেপ্তার হয়েছে। সূতি থেকে ধৃতদের মধ্যে তিনজনেরই বাড়ি মালদহ জেলায়। দু’জনের বাড়ি বৈষ্ণবনগর এবং একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। বৃহস্পতিবার রাতেও ফরাক্কার জিগরি মোড় থেকে দু’জন জালনোট পাচারকারীকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের কাছে থেকে ৪লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছিল। ধৃতরা সূতি থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই চক্রের পাণ্ডারা দু’হাজার টাকার জালনোট তৈরি করছে। পাচারকারীদের কাছে থেকে পুলিস প্রতিবারই দু’হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার করেছে। শনিবার রাতে উদ্ধার হওয়া নোটগুলিও সবই দু’হাজারের ছিল। জেলার পুলিস সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ওই সমস্ত থানা এলাকায় পুলিস সক্রিয় রয়েছে। এর আগেও বহুবার জালনোট উদ্ধার হয়েছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আরও বেশি নজরদারি বাড়ানো হবে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জালনোট বিক্রি করে কারবারিরা শুধু মুনাফা লুটতে চায় না, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করারও টার্গেট তাদের রয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জঙ্গি যোগ রয়েছে। তাদের পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতেই জালনোট তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। তারা জালনোট এরাজ্যে ঢোকানোর জন্য মূলত বৈষ্ণবনগর এলাকাকে বেছে নেয়। বাংলাদেশ থেকে সেদেশের কারবারিরা ব্যাগের মাধ্যমে টাকা এনে সীমান্ত পার করে দেয়। এদেশের কারবারিরাও জালনোট পাচারের জন্য স্কুল ব্যাগ ব্যবহার করে। পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে তারা জালনোট নিয়ে চলে আসে। এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করার জন্য কারবারিরা এক একটি সীমান্তবর্তী এলাকা বেছে নিয়েছে। মুর্শিদাবাদের লালগোলা, জলঙ্গি, জঙ্গিপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মূলত গোরু, নেশার সামগ্রী পাচার হয়। মালদহ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি দিয়ে জালনোট এবং অস্ত্র বেশি পাচার হয়ে থাকে। মাঝে কিছুদিন নোট পাচার বন্ধ ছিল। কয়েক মাস ধরে জালনোটের কারবারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠায় পুলিসের নজরদারিও বেড়েছে। তারা তাদের সোর্সদের চাঙ্গা করেছে। সেকারণেই বারেবারে জালনোট পাচার করার সময় দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে বলে পুলিসের দাবি। পুজোর আগেও কয়েক লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছিল।