যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
ষড় গোস্বামীদের মধ্যে প্রধান শ্রীরূপ এবং সনাতন গোস্বামী। তাঁরা চৈতন্য মহাপ্রভুর সহচর ছিলেন। ৫৩০ বছর আগে দুই মহাবৈষ্ণবের বাড়ি ছিল পুরাতন মালদহের সাহাপুরের মাধাইপুর গ্রামে। তাঁরা দুই ভাই মাধাইপুরে মামার বাড়িতেই বড় হন। পড়াশোনায় খুবই মেধাবী ছিলেন তাঁরা। সেজন্য তৎকালীন গৌড়ের রাজা হোসেন শাহ তাঁদের মন্ত্রিত্ব দেন। তাঁরা রামকেলি গ্রামে রাজকর্মের পাশাপাশি ভজন সাধন করতেন। তাঁদের টানেই মহাপ্রভু মালদহে আসেন। সেই পদচিহ্ন আজও জেলার রামকেলি ধামে রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে মালদহের ঐতিহ্যের বাহক ষড় গোস্বামীদের ছবি তুলে দেওয়া হয়।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা মালদহের বিধায়ক গোপাল সাহা বলেন, শ্রীরূপ এবং সনাতন গোস্বামী গোটা দেশে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেছিলেন। তাঁরা মাধাইপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছবি তুলে দেওয়া হয়েছে। জনসভায় বিভিন্ন কথার মাঝে মোদিজির এত খেয়াল ছিল না। সেজন্য তিনি নাম বলেননি। তবে তিনি ষড় গোস্বামীদের বিষয়ে সব জানেন। ছবি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।
জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি শুভময় বসুর অবশ্য কটাক্ষ, আমরা সবসময় বলে আসছি বিজেপি বাংলা বিরোধী। সেজন্য নিজেদের বাংলাপ্রেমী প্রমাণ করতে মোদি মা কালী, মা দুর্গার নাম নিয়েছেন। কাগজে হয়তো মহাপ্রভুর প্রসঙ্গ ছিল না। তাই বলতে পারেননি। জেলার দুই প্রার্থী হারবেন, সেজন্য মোদি নিজের নামে ভোট চেয়েছেন।