কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শিলিগুড়ির পুলিস অফিসাররা অবশ্য বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো পুলিস কমিশনারেটের প্রতিটি এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নাকা তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাই বিহারের তৈরি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এরসঙ্গে জড়িত বিহারের কারবারিদের ধরতে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ওই রাতে শহরের কুলিপাড়ায় টহল দিচ্ছিল প্রধাননগর থানার পুলিস। তারা সেসময় কুলিপাড়া মোড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ অর্জুনকে গ্রেপ্তার করে। মাল্লাগুড়িতে ধৃতের বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, অর্জুন সেখানে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। টহলরত পুলিস কর্মীরা কাছে যেতেই পালানোর চেষ্টা করে। পিছু নিয়ে আটক করা হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে অর্জুনের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিস। ধৃতের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের চক্ষুচড়কগাছ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময় পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে অর্জুন। বছর খানেক আগেই তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার তার কাছ থেকে বিহারের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র মিলল। সম্ভবত জেলেই আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মাদক কারবারি অর্জুনের। এরপরেই সে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে নামে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এলাকায় লোকজনকে চমকাতো বলে খবর। শুধু তাই নয়, সে ভোটের ময়দানে আগ্নেয়াস্ত্র ছড়ানোর ছকও কষেছিল। ধৃতের মতো আরও কিছু মাদক কারবারি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। পুলিস অফিসাররা বলেন, নতুন করে কেউ আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে জড়াচ্ছে না। তাই বিভিন্নরকম টোপ দিয়ে পুরনো মাদক কারবারি ও মাদকাসক্তদের অস্ত্র কারবারে শামিল করছে বিহারের আমর্স সিন্ডিকেট। সম্ভবত নেশার টাকা জোগাড় করতেই মাদকাসক্তরা সহজেই ফাঁদে পা দিচ্ছে।
শিলিগুড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা অনেকদিনের। এরআগেও এখান থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাড়ে তিন মাসে শহরে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৯টি। যারমধ্যে অধিকাংশই ভক্তিনগর ও প্রধাননগর থানা এলাকায়। পুলিস অফিসাররা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই এই শহরকে ব্যবহার করছে অস্ত্র কারবারিরা। অপরাধ সংগঠিত করে এই শহর থেকে সজে গা ঢাকা দেওয়া যায়। কারণ এখান থেকে বিহার, সিকিম, প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও বাংলাদেশের দূরত্ব বেশি নয়। এরআগেও এখান থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির সঙ্গে বিহারের সংস্রব মিলেছে। বিহারের কিষানগঞ্জ, ভাগলপুর, মুঙ্গের প্রভৃতি এলাকা থেকে চোরাপথে পাইপগান ও সেভেন এমএম পিস্তল এখানে আসছে। কেবলমাত্র সেই অস্ত্র শিলিগুড়িতে থাকছে না। তা দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ছড়ানো হচ্ছে বলেই খবর।