কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রার্থীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন। প্রার্থী ঢুকতেই হুডখোলা গাড়িতে প্রচার শুরু করেন। সামনে বাইক নিয়ে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। একসময় পশ্চিম দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় ১৯৬৬ সালে জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
১৯৯৮ সালে তৃণমূলে যোগদান করে জেলায় দল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালে হরিরামপুরের বিধায়ক হন বিপ্লব। ২০২১ সালে ফের একই কেন্দ্রের বিধায়ক হয়ে মন্ত্রী হন প্রবীণ এই নেতা। রাজনীতির আঙিনায় দুই দিনাজপুরে সমান বিচরণ থাকায় ইটাহার বিধানসভায় প্রচার করতে গিয়ে পরিচিত প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এদিন ইটাহার বিধানসভার গুলন্দর-১, গুলন্দর-২, সুরণ-১, সুরণ-২ পঞ্চায়েতে প্রচার করেন তপ্ত দুপুরে। মাঝে মাঝে প্রখর রোদে গ্লুকোজের জল নিজে খান ও কর্মীদের বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিতে দেখা যায় বিপ্লবকে। ইটাহারের চূড়ামন এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি পৌঁছতেই মহিলা, পুরুষরা ভিড় জমালেন। ছায়ায় দাঁড়িয়ে হ্যান্ড মাইক দিয়ে বিপ্লব ভোট চাওয়ার পাশাপাশি বিজেপিকে কেন ভোট দেবেন না, সেবিষয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝালেন।
দুপুরে প্রচার শুরু করে বেলা গড়িয়ে চারটে। ঘড়িতে সময় দেখে জেলার কুশমণ্ডিতে অভিনেতা দীপক অধিকারীর (দেব) সময়ে পৌঁছতে হবে বলে রওনা দিলেন বিপ্লব। কুশমণ্ডি হাইস্কুল মাঠ তখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বিপ্লব মাঠে ঢুকতেই কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, স্লোগানে কেঁপে ওঠে মাঠ। জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছেন, এমন সময় মঞ্চে উঠলেন প্রার্থী। কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে দেব পৌঁছতেই জনসভা যেন জনসমুদ্রের রূপ নিল। বাংলাকে বিজেপি বঞ্চনা করে চলেছে বলে সভামঞ্চ থেকে অভিযোগ করেন দেব। বিপ্লব মিত্রকে ভোট দিয়ে জেলার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিপ্লব বলেন, দেব সভা করতে আসায় মানুষের ঢল নামে। দুপুরের দিকে গরমে কেউ বেরতে পারছেন না। বিকেলে সভা হওয়ায় প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। মিঠুন এসে উন্নয়নের কথা বলেননি। মিঠুন নিজের ছাড়া কারও কথা ভাবেননি। দেব সৌজন্য জানেন, বিরোধী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।