কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গৌতম দেব বলেন, এই জটিলতা ও কাজে দেরির কারণ সাধারণ মানুষের কাছে জলের মতো স্পষ্ট। তাই সরাসরি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, যে বৃহৎ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা এবং ডাক্তারি শিক্ষা এখান থেকে দেওয়া হয়, তাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালকে জাতীয়স্তরের গুরুত্ব দিয়ে আলাদা বরাদ্দ ঘোষণা করা উচিত কেন্দ্রের। বিষয়টি আমরা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাব। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে রাস্তায় নামব। এটি এমনই একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, যেটি পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে। ফলে সাফাই থেকে শুরু করে নানা ধরনের পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেকারণে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করা হলে সমস্যার সমাধান হবে। এবিষয়ে দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারেও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মেসেজেরও জবাব দেননি। তবে জলপাইগুড়ির বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ জয়ন্তকুমার রায় বলেন, মেডিক্যালে সাম্প্রতিককালে যে উন্নতি হয়েছে, তা কেন্দ্রের দেওয়া টাকাতেই হয়েছে। সুপার স্পেশালিটি ব্লক রাজ্য সরকারই চালাতে চাইছে না। ক্যাথল্যাব ছাড়া আরও অনেক চিকিসা সরঞ্জাম এসেছে। যা দিয়ে সুপার স্পেশালিটি ব্লক অনায়াসে চালু করা যায়। কিন্তু রাজ্য সরকার সব বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিতে পারেনি।
অন্যদিকে, নির্বাচনের জন্য চিকিৎসা পরিষেবায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, ডাক্তাররা যাতে নিয়মিত আসেন, সেব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সজাগ। গৌতম দেব বলেন, কয়েকজন ডাক্তার নিয়মিত না আসায় তাঁদের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা ঠিকমতো আসছেন। এদিন ডেঙ্গুর প্রাক প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করেন শিলিগুড়ির মেয়র। তিনি বলেন, এই অঞ্চলটি ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে সবসময় ভালনারেবল। তবে এখনও এখানে ডেঙ্গু সংক্রমণের কোনও ঘটনা নেই। কিন্তু আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এখানকার চিকিৎসা পরিষেবা কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে এদিন আলোচনা করেছি। পরে শিলিগুড়ি পুরসভা, এসজেডিএ এবং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর মিলে বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হবে।